কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন ২০ ভাগও নিরপেক্ষ নয় বলে দাবি করেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের লোকদের বেশি সুযোগ দিচ্ছে। অপরদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অনেক কিছু করার থাকলেও তারা তা করছে না।
শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের অফিসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেন। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির প্রধান।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সরকারি দলের নেতারা এখনই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর গ্রেফতার হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। এসব দেখেও নির্বিকার ইসি। অপরদিকে বিরোধী দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর লাশ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করছি।’ প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তা প্রত্যাহার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বক্তব্যকে দ্বিমুখী বলে উল্লেখ করেন বুলু।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সমন্বয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সারাদেশে জেলায় জেলায় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। এজন্য ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত এসব কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে ঐক্যফ্রন্টের সব দলের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে।
নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি ও মনোনয়ন বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে বুলু বলেন, ‘এসব দায়িত্ব ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির। মনোনয়নকৃতরা নির্বাচনের সময় জেলে থাকলে সেখান থেকেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে বিকল্প প্রার্থীও থাকবেন।’
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার পাবেন। শনিবারও ইশতেহার কমিটির বৈঠক আছে।’
সমন্বয় কমিটির এই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, শহিদুদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মনিরুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।