কাজিরবাজার ডেস্কঃ নির্বাচন চলাকালে কেন্দ্র পর্যবেক্ষণকারীরা কোনো মন্তব্য বা পরামর্শ দিতে পারবে না, তারা কেবল মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পর্যবেক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, পর্যবেক্ষরা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিতে পারবেন না। ছবি তুলতে পারবেন না। কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবে। কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও না, মিডিয়ার লোকও না।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রে যত সমস্যাই হোক না কেন তারা শুধু পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবে এবং সবশেষে আপনারা সেগুলো কম্পাইল করে রিপোর্ট দেবেন, এটাই পর্যবেক্ষকের কাজ।
পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা মেনে আবেদন জানানার পরামর্শ দিয়ে ইসি সচিব বলেন, কোথায় কোন জেলার কোন এলাকাতে আপনারা পর্যবেক্ষণ করবেন জানিয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য দেবেন। আমরা তাদের পরিচয়পত্র দেব। আবেদনে কোনো শর্তভঙ্গ করলে আপনাদের পর্যবেক্ষণ বাতিল হতে পারে।
পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করে দিয়ে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, কমিশন থেকে যে পরিচয়পত্র দেয়া হবে কেন্দ্রে গেলে তা সর্বদা গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা যেন বুঝতে পারে আপনি পর্যব্ক্ষেক।
পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন নীতিমালা সম্পর্কে তিনি বলেন, পর্যবেক্ষকে কেন্দ্র দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে নিজের পরিচয় দিতে হবে। পর্যবেক্ষণের সময় কোনো গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না। কাউকে নির্দেশনা দিতে পারবেন না। প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং এজেন্টকে কোনো পরামর্শ দিতে পারবেন না।
তবে কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে পারে বা লিখিতভাবে অভিহিত করতে পারেন বলেও জানান তিনি।
পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন কেন্দ্র ভাগ করে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ইসি সচিব বলেন, আমাদের ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র থাকবে। আমরা এমনভাবে নীতিমালা করার চেষ্টা করবো যাতে মোটামুটি এক কেন্দ্রে এক প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, যে কেন্দ্রগুলো রাস্তার ধারে সেগুলোতে উপচে পড়ে পর্যক্ষেক্ষকরা। আর দূরের কেন্দ্রগুলোতে দেখার মতো কেউ নেই।