আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দ্বারস্থ হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দু-একদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দিতে যাচ্ছেন জোটের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এ চিঠিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে রাষ্ট্রপতির সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
জোট নেতারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি দেশের অভিভাবক। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাকে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টিও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হবে।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানায়, সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে স্বাধীন থাকা এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অনুযায়ী কাজ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কমিশন নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে না। সেইসঙ্গে সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সংবিধানে ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। কিন্তু এ ব্যাপারে ইসি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতে পারে।’
গতকাল এক অনুষ্ঠানে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেরাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে, নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির আহ্বান জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের খবর প্রচার, বিরোধী দলের সংবাদ প্রচার না করা এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানিকে অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ সব বিষয় রাষ্ট্রপতিকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিল ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসেন।