দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারে তৌহিদুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বাংলাবাজার ইউনিয়নের কুলাউড়া গ্রামের মৃত আহেদ মিয়ার পুত্র। নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস এর স্বত্ত্বাধিকারী নুরুল ইসলামের পুত্র শামীম নামের এক সহপাটিকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্দেহভাজন গার্মেন্টস এর স্বত্ত্বাধিকারী নুরুল ইসলামসহ তার আরেক পুত্র ও একই ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র নিহতের অপর সহপাটি মনসুর আহমদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিন গিয়ে জানান যায়, তৌহিদুল ইসলাম নিহতের তৌহিদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের স্থানীয় কলাউড়া মার্কেটে বিকাশের ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার কথা বলে বের হলে আর বাড়ী ফিরেনি। শুক্রবার সকালে বাংলাবাজারের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন গলিতে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেও জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এসময় বাজারের ‘বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস’ এর দ্বিতীয় তলা থেকে রক্তমাখা কম্বল, গামছা, মদের বোতল, কাপড়ের ব্যাগসহ দুইটি রক্তমাখা বালতি এবং নিহতের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো. দোলন মিয়া জানান, ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫জন কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।