লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় পেলো ইংলিশরা

28

স্পোর্টস ডেস্ক :
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১১ রানের বিশাল জয়ে পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জো রুটবাহিনী। এই জয়ে বিদেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে দীর্ঘ জয়খরা কাটিয়ে উঠলো দলটি। সর্বশেষ বিদেশের মাটিতে ১৪ ম্যাচ আগে জয়ের দেখা পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২ রানের জয় পেয়েছিল তারা।
গলে ইংলিশদের ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত বেন ফোকস ও কিটন জেনিংস। দুই ইনিংসে এই দুই ব্যাটসম্যানের দুই সেঞ্চুরি লঙ্কানদের সামনে রেকর্ড ৪৬২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২০৩ রানে অলআউট হওয়া শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫০ রানেই থেমে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী ৪ উইকেট ও জ্যাক লিচ নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ম্যাচের প্রথম দিনের সকালেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল ইংলিশরা। এরপর থেকেই পুরো ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছেন রুট-আলীরা।
মাত্র দ্বিতীয় ইংলিশ উইকেটরক্ষক হিসেবে অভিষেক ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচে জয়ের ভিত গড়ে দেন বেন ফোকস। তার ওই ব্যাটিং দলকে প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানের সংগ্রহ এনে দেয়।
জবাবে মাত্র ২০৩ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। যদিও ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু দুই ইনিংসেই ফিফটি করেও দলের পরাজয় থামাতে পারেননি এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের ১০ উইকেটের ৮টিই তুলে নেন তিন ইংলিশ স্পিনার মঈন, লিচ ও আদিল রশিদ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩৭ রানে ৮ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা বোলার হয়েছেন মঈন।
এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার কিটন জেনিংসের সেঞ্চুরি ও বেন স্টোকসের হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান তুলে লঙ্কানদের সামনে ৪৬২ রানের পাহাড়াসম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ইংল্যান্ড।
রেকর্ড ৪৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৫০ রানেই থেমে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ফলে ২১১ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন চান্ডিমাল-ম্যাথুজরা।
এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন লঙ্গান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। শেষ টেস্টে ৩ উইকেট নিয়ে মোট ৪৩৩ টেস্ট উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করলেন তিনি। পৃথিবীর আর কোনো বাঁহাতি বোলারের এতো টেস্ট উইকেট নেই। হেরাথের শেষটা হয়তো আরও ভালো হতে পারতো। শেষ বেলায় লঙ্কান ক্রিকেটকে অনেক স্মৃতি উপহার দিলেন ঠিকই, কিন্তু তার বিদায় লঙ্কান ক্রিকেটের দুরবস্থা আরও বাড়িয়ে দিলো কিনা সেটাই প্রশ্ন।