কাজিরবাজার ডেস্ক :
সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট ৩ মাসের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছে। এটা সংবিধান বিরোধী। অযৌক্তিক দাবি। সংবিধানের বাইরে যাওয়া হবে না। নির্বাচন পিছিয়ে অপশক্তিকে সুযোগ দেয়া হবে না।
বুধবার গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হবে না। সংবিধানের ভেতরে থেকেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাদের নেত্রী। রাজবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রীর অধীনে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। তবে লোকাল এডমিনিস্ট্রেশনের অধীনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকতে পারবে বলে জানান তিনি।
সংলাপের ফলাফল নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কয়েকটি প্রস্তাব সংবিধান সম্মত না হওয়ায় সেগুলো মেনে নেয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, বিদেশি পর্যবেক্ষক, রাজবন্দিদের মুক্তি এসব বিষয়ে কথা হয়েছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ করেছেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। আমরা দেখিয়ে দেব এই সরকারের অধীনেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এরপর যদি আপনারা জিতেন আপনারা ক্ষমতায় আসবেন, আর আমরা জিতলে আমরা আসবো।
সংলাপ শেষ হলেও আলোচনা চলতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সংলাপ শুরু হয়। এতে উভয় দলের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। এই সংলাপ চলে প্রায় তিন ঘণ্টা।