গোলাপগঞ্জে দু’নারী কর্তৃক ক্রেতা সেজে অভিনব কায়দায় চুরি

50
গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ীদের হাতে আটক হওয়া দুই প্রতারক নারী।
গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ীদের হাতে আটক হওয়া দুই প্রতারক নারী।

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে দুই প্রতারক নারী ক্রেতা সেজে একটি দোকানে অভিনব কায়দায় চুরি করেছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ২০মিনিট। এমন সময় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার আহমদ খাঁন রোর্ডের সু-শাড়ীজ নামক দোকানে ৪/৫ বছরের একটি শিশু বাচ্চা ও ৭/৮ বছর বয়সের একটি কিশোরী মেয়েকে নিয়ে ৫০ বছর বয়সের এক মহিলা ও ৩৩/৩৫ বছর বয়সের মধ্যে এক যুবতী মহিলা যান শপিং করার জন্য। এ সময় ওই দোকানের মালিক শফিকুল ইসলাম একাই দোকানে ছিলেন। কর্মচারী নাঈম ছিল দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বাহিরে। শুরু হয় প্রতারক নারীদের জামা কাপড় দেখাশুনা। ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলা দোকানের মালিক শফিকুলকে জামা কাপড় দেখানোর জন্য ব্যস্ত করে ফেলেন। এ সময় প্রতারক যুবতী নারী ছোট্ট দামি কাপড়গুলো বোরকার ভিতর দিয়ে ঢুকাতে থাকে। ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলাকে কাপড় দেখানোর এক পর্যায়ে দোকানের মালিকের সন্দেহ দেখা দিলে তিনি কাপড় দেখানোর পাশাপাশি সাথে আসা ওই যুবতী নারীকে ফলো করতে থাকেন। যুবতী মহিলাকে ফলো করার এক পর্যায়ে ২টি কাপড় বোরকার ভেতরে ঢুকাতে দেখেন দোকানের মালিক শফিকুল। দোকানের মালিকও ছিলেন খুবই কৌশলী। এমন সময় ওই দোকানের কর্মচারীও দোকানে উপস্থিত হন এবং মালিক কর্মচারীকে কোন কিছু না বলেই তাদেরকে কাপড় দেখানোর কথা বলে তিনি বাহিরে যান। পরে তিনি প্রতিবেশি এক ব্যবসায়ীর সহযোগীতা নিয়ে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেখকে বিষয়টি অবগত করে নিয়ে আসেন। তিনি আসার পর দোকানের মালিক কাপড় চুরির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রতারক ওই কাস্টমারদের সামনে। এ সময় বণিক সমিতির সভাপতি আলেক যুবতী মহিলাকে চুরির বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে তার চুলকানি রোগ আছে। তাই সে বেশ কয়েকবার বোরকার ভেতর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকিয়েছে। তার এই কথা শুনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন আলেখ। পরে তিনি অন্যান্য বাসায়ীদের সহযোগিতায় একজন মহিলাকে ডাকেন। পরে বণিক সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে পাশের একটি সোনার দোকানের পেছনে নিয়ে ওই যুবতী মহিলার শরীর তল্লাশি করে নতুন ৫টি কাপড় পাওয়া যায়। এ সময় সে বলে তার কিশোরী মেয়েটি তার কাছে কাপড়গুলি রেখেছিল। মেয়েকে নিয়ে একা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি চুরি করিনি। পরে ওই দুই প্রতারক নারীকে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে শতাধিক লোক ভীড় করেন মহিলা চোর চক্রের সদস্যদের দেখার জন্য। উত্তম সময় তাদের বাড়ী জানতে চাইলে তারা প্রথমে বলে বাঘায় ও পরে বলে কানাইঘাট থানার রাজাগঞ্জে। স্বজনদের মোবাইল নাম্বার চাইলে তারা বলে তাদের কাছে কোন মোবাইল নাম্বার নেই। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, দুটি শিশু বাচ্চা সাথে থাকায় তাদের কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক কোন পরিচয় দেয়নি।