হবিগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

5

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে অপ্রাপ্ত বয়স্ক চাচাতো বোনকে ধর্ষনের অভিযোগে শাহিন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ রায় দেন। মামলার বাদি ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কিশোরীকে ২০১৬ সালের ১ জুলাই তার ঘরে ধর্ষণ করে তার আপন চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে পারিবারিকভাবে শেফালী ও শাহীনের বিয়ের কথাবার্তা চললেও শাহীনের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মা বেঁকে বসেন। তিনি কোনভাবেই ওই কিশোরীকে ছেলের বৌ করতে রাজি হননি। এরই মধ্যে কেটে যায় ৩৪ সপ্তাহ।
এরপর ওই কিশোরীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুত্র সন্তান প্রসবের পর ওই কিশোরী একলামশিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরআগেই তিনি বাদি হয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন। শাহিন ওই শিশুর পিতা অস্বীকার করে আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি করেন। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে রিপোর্টে শিশুটি শাহীনের ঔরসজাত বলে প্রমানিত হয়।
মঙ্গলবার রায়ে আসামী শাহীনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দেয়া হয়।
আদেশে আরও বলা হয় শিশু শাহানূর তুহিনের ব্যয়ভার রাষ্ট্রপক্ষ বহন করবে। ভরন পোষনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শাহিন মিয়ার নিকট থেকে আদায় করতে পারবে। শিশুটির বয়স ২১ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত মায়ের আত্মীয় স্বজনের কাছে প্রতিপালিত হবে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ ব্যাতিত দণ্ডিত শাহিন মিয়াকে ধর্ষণের ফলে জন্ম গ্রহনকারি সন্তান শাহানূর তুহিনের বৈধ অভিভাবক বলে গণ্য করা যাবে না।