জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জের ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে ও জড়িত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা এবং প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীরা। সোমবার জকিগঞ্জ বাজারের এমএ হক চত্তরে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর জকিগঞ্জ থানা পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে যায়। এরপর সংক্ষিপ্ত পথসভায় উপজেলা জাপা নেতা মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও তালামিয নেতা মাহতাব আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রসমাজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম রহুল আমিন, সমাজসেবক মাহতাব আহমদ, সোনান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে পরীক্ষায় অংশ নেতা আব্দুল কাদির, পরীক্ষার্থী শাকিল আহমদ, ইছামতি খ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে অংশগ্রহণকারী সুহেল আহমদ, পারভেজ আহমদ, প্রদীপ চন্দ্র নাথ, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ফলাফলে মেধাবীদের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করলে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসবে। বক্তারা দপ্তরী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বাতিল চেয়ে পুনরায় সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা গ্রহণ করতে আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজা নিয়োগ স্থগিতের ঘোষনা দেন। তবে দপ্তরী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা নিয়োগটি বাতিল করে আর্থিক লেনদেনে জড়িতদের বিচার দাবী করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার কাছে।
অপর দিকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিগণ অভিযোগ করেন, বড় অংকের লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগে কারসাজি করা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম এ কারসাজিতে লিপ্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিগণ আহবান জানিয়েছেন।
নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ বলেন, নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। নাম্বার পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তাই বাতিল করাই ভালো।