খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী এক বিরাট মাইল ফলক – এস.এম আনিসুজ্জামান

50

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সিলেট বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালক এস.এম আনিসুজ্জামান বলেছেন, জাতীয় তথ্য ভান্ডার তৈরীতে খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী এক বিরাট মাইল ফলক। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা সহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে এ শুমারী সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সরকারের সেবা সমূহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। জনগণের কল্যাণে নিবেদিত সরকারের এ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে। দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ খানা হতে সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে খানার গৃহের ধরণ, খানার সম্পদের পরিমাণ, খানার মালিকাধীন জমির পরিমাণ, খানার সদস্যগণের শিক্ষার স্তর, সদস্যগণের পেশার ধরণ, খানা কর্তৃক ব্যবহৃত টয়লেটের ধরণ / মান ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হবে। খানা তথ্যভান্ডার শুমারী গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট বিভাগের সকল জেলায় শুরু হয়েছে। সরকারের এ কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটির সভা, জেলা পর্যায়ে র‌্যালির আয়োজন, জুম্মার নামাজের খুৎবার পূর্বে মুসল্লীদের তথ্য প্রদানে অনুরোধ, তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রচার এবং বাংলাদেশ বেতার সিলেটের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার সহ মাইকিং, সর্বত্র লিফলেট, পোস্টার ব্যানার টানানো হয়েছে।
তিনি রবিবার দুপুরে সিলেট জেলা অফিস প্রাঙ্গণে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন সিলেট বিভাগে এই খানা তথ্য ভান্ডার শুমারীতে একজন বিভাগীয় সমন্বয়কারী, ১০ জন জেলা সমন্বয়কারী, ৪০ জন উপজেলা সমন্বয়কারী, ৩৪৫ জন জোনাল অফিসার, ১ হাজার ৮২০ জন সুপার ভাইজার ও ১০ হাজার ২শ’ ৭ জন তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করছেন। ইতিমধ্যে বিভাগের প্রায় ৯০% তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শুমারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির প্রতিফলন সহ সরকারের আগামীর কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ খানা তথ্য ভান্ডার শুমারীতে নির্ভুল ও সঠিক তথ্য দিয়ে দেশের নাগরিকগণকে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটি নির্ভুল তথ্য ভান্ডার গড়ে তুলতে খানা তথ্যভান্ডার শুমারী কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞপ্তি