স্টাফ রিপোর্টার :
নিজের ওপর শারীরিক নির্যাতন, জিম্মি করে চাঁদা দাবি ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বালুচর নতুন বাজার ফোকাস-১৭৩ এর বাসিন্দা মো. ফজর আলীর পুত্র মো. তাজউদ্দীন আহমদ। গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বালুচর বাঁধন মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিচালক কামাল খান ও জামাল খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় মামলা করে তিনি জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও জানান তাজ উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমি পেশায় একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। গত ৪ অক্টোবর মা ও বোনের পাসপোর্টে ডলার এন্ডোরস করার জন্য নগরীর দরগাগেইটস্থ আমার রেস্টুরেন্ট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে বের হই। বালুচর পয়েন্টে বাঁধন মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের সামনে পৌছামাত্রই কামাল খান ও তার ভাই জামাল খান এবং তাদের সহযোগীরা গতিরোধ করে আমাকে গালিগালাজ এবং মারধর করে। তারা আমার সাথে থাকা নগদ এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর বাঁধন মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে আবারও মারধর করে। এতে আমার বাম চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
তিনি বলেন, আমার মা এসে আমাকে আটকানোর ব্যাপারে তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আমার শরীরে ক্ষতিকারক মেডিসিন দিয়ে আমার ক্ষতি করবে বলে মাকে হুমকি দেয়। আমার মা থানা পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা বললে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে আমাকে স্বজনরা সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বাঁধন মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিচালক ইয়াওর খানের পুত্র কামাল খানকে প্রধান আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ (রহ.) থানায় মামলা (নম্বর ০২) করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো- কামাল খানের ভাই জামাল খান, মিরাপাড়া এলাকার রাজা ওরফে কালা রাজা, বালুচরের আলম ও লুলু এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন। তাজউদ্দীন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মামলা দায়েরের কারণে কামাল আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ফাঁসাতে পারে। আমাকে মাদকাসক্ত বানিয়ে জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই কামাল খানের উদ্দেশ্য।
তিনি বাঁধন মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে কামাল খান ও জামাল খান এবং তাদের সহেযাগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে তাজউদ্দীনের মা ছালেহা বেগম, মামা নূরুল আমীন (রুহুল) ও মিছবা খান এবং ভাই আব্দুস সহিদ উপস্থিত ছিলেন।