কারচুপির অভিযোগ এনে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ফল স্থগিতের দাবী জানালেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র জাকারিয়ার আহমদ পাপলু।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ফল স্থগিতের দাবি জানান পাপলু।
জাকারিয়া আহমদ পাপলু লিখিত অভিযোগে বলেন, বিগত ৩ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ পৌর সভার উপ নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে জহির আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫ নং ওয়ার্ডের দাঁড়িপাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কয়েকশ প্রবাসী এবং মৃত ব্যক্তিদের ভোট দেয়া হয়। ২২৫ জন প্রবাসী এবং মৃত ভোটার শনাক্ত করে অভিযোগের সাথে তার তালিকাও জমা দিয়েছেন তিনি। এ রকম ভুয়া ভোটসহ জাল ভোটের সংখ্যা এক হাজার বলে উল্লেখ করেন পাপলু। এছাড়া বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্ট বের করে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেলের পক্ষে জাল ভোট দেবার অভিযোগও আনেন তিনি। পাপলু আরো অভিযোগ করেন যে, পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্ট বের করে দিয়ে প্রশাসনের যোগ সাজসে ভোট দেয়া হয় এবং তা ‘জগ’ প্রতীকের পক্ষে গণনা করা হয়। নির্বাচনের দিন প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তাঁরা তা আমলে না নিয়ে তাঁর এজেন্টদের অনুপস্থিতিতেই ভোট গণনা সম্পন্ন করেন।
এর আগে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আরেকটি অভিযোগ দেন পাপলু। সেই অভিযোগে করা হয়, আমিনুল ইসলাম রাবেল ও অপর প্রার্থী মহিউস সুন্নাহ নার্জিস বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা এবং ভোটারদের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন। বিজ্ঞপ্তি