মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উপলক্ষে সারাদেশের সাথে মৌলভীবাজার জেলা জুড়েও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলার মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। একইসাথে মন্দিরের সাজসজ্জা, ধোয়া-মোছা, তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে।
মৌলভীবাজার জেলায় এবার ৯৯৫’ মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজার আয়োজন চলছে। এরমধ্যে সর্বজনীন ৮৪২ টি এবং ব্যক্তিগত ১৫৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ও মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায় মুন্না বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দেবী পৃথিবীতে আসছেন ঘোড়ায় চড়ে আর ফিরে যাবেন পালকিতে চড়ে।’
তবে লোকশ্র“তি আছে, ‘ঘোড়া দ্রুততার প্রতীক। অশ্ব শক্তি। দেবী ঘোড়ায় চড়ে আসলে প্রকৃতি রুদ্র রুপ ধারণ করে। ঘূর্ণিঝড়, প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। পালকিতে চড়ে কৈলাস গমন-রোগব্যাধি, জরা, মৃত্যু নেমে আসবে।’
রাজনগর উপজেলায় ৭৬টি মন্ডপ- ব্যক্তিগত ৫৪টি মন্ডপ, বড়লেখায় ১৩৩টি-ব্যক্তিগত-১৮টি, কুলাউড়ায় ১৯৪টি-ব্যক্তিগত ২৩, জুড়ীতে ৬৫টি-ব্যক্তিগত ৩টি, মৌলভীবাজার সদরে মোট ৮৪টি ব্যক্তিগত ২২টি। শ্রীমঙ্গল ১৫৪টি-ব্যক্তিগত ১৩টি, কমলগঞ্জে ১৩৬টি পূজামন্ডপে ২০।
রাজনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, ‘উপমহাদেশের একমাত্র লাল দুর্গা দেবীর পূজা হয় এই উপজেলায়। এতে রক্তবর্ণা দেবী-দুর্গা দেখার জন্য দেশি বিদেশী ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটে। এই উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলায় রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলায় শারদীয় দুর্গাপূজায় কয়েকশত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রত্যেকটি পূজামন্ডপ ও মিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় তারা নিয়োজিত থাকবেন। সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।’