বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
গতকাল শুক্রবার সকাল বেলা এসেই অনেকের চোখে অবিশ্বাস ঠেকেছে। সকালে বিয়ানীবাজার পৌরসভা অস্থায়ী মাছ ও সবজি বাজার উচ্ছেদ করেছে। সরিয়ে নিয়েছে অস্থায়ী স্থাপনা। তবে মাছ বাজারের টেবিল-টুল, ব্যাঞ্চ এগুলো রয়েছে জায়গা মতো।
বিষয়টি উচ্ছেদের মতো দেখালে আসলে প্রকৃত পক্ষে এটাকে উচ্ছেদও বলা যাচ্ছে না। সবজি ব্যবসায়ীদের মধ্যে পৌর কিচেন মার্কেটের ভিটা বরাদ্ধ করা হয় গত ১ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার রাতে সবজি ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী বাজার থেকে তাদের মালামাল সরিয়ে নেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মৎস্য ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অঘোষিত ধর্মঘটে চলে যান। ফলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের টেবিল, টুল, ব্যাঞ্চ এবং কয়েকটি জার ছাড়া অন্য কিছু ছিল না।
এদিকে শুক্রবার সকালে পৌরসভাকর্তৃপক্ষ অস্থায়ী বাজারের বাঁশের খুঁটি ও টিন সরিয়ে নিয়েছে। যার কারণে গত তিন বছর থেকে অনেকটা জঞ্জাল তৈরী করা অস্থায়ী মৎস্য ও সবজি বাজার উঠে গেল।
পৌরশহরের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে আরও আলোচনা করে তাদের একটি জায়গায় নিয়ে আসা। সকলের স্বার্থে এবং বৃহৎ মানুষের কল্যাণে তারাও এগিয়ে আসবেন।
ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, বাজার ও মাছ একটার সাথে অন্যটার সম্পর্ক খুব বেশি। এর প্রভাব বাজারের অন্য ব্যবসায়ও পড়ে। যার কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীদের অবস্থান থেকে সরে এসে পৌরসভার সাথে একটি সমাধানে পৌছার।
শুক্রবার বিকালে সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, কলেজ রোড ও মধ্যবাজারের উত্তর অংশে কিছু সবজি ব্যবসায়ী এখনো রয়েছেন। হয়তো কালান্তরে তারাও এখান থেকে চলে যাবেন। মাছ ব্যবসায়িরা তাদের জিনিস পত্র গোছাচ্ছেন।
মাছ ব্যবসায়িরা জানান, পৌরসভার আগের পৌর প্রশাসক আমাদেরকে তিন মাসের জন্য এখানে স্থানান্তরিত করলে তিনি পরবর্তীতে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। আামাদেরকে পৌর বিপনির প্রথম তলায় দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান মেয়র আন্ডারগ্রাউন্ডে মাছ ব্যবসায়িরা যাওয়ার জন্য বললে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।
ব্যবসায়িরা আরোও জানান, দীর্ঘ ১০ দিন পর অবরোধ প্রত্যাহার করে শনিবার থেকে আমরা খশির-আব্দুল্লাহপুরে নতুম করে মাছ বাজার আরম্ভ করবো।