খাদিমনগরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীকে কারাগারে প্রেরণ

47

স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের মংলিরপার গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সামসুন্নাহারকে (২৫) হত্যা করার পর এয়ারপোর্ট থানায় আত্মসমর্পণকারী ঘাতক স্বামী সহিদ আহমদকে (৩৫) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জেলে প্রেরণকৃত সহিদ এয়ারপোর্ট থানার মংলিরপার গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে পুলিশ একদিন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শুক্রবার স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সহিদকে কারাগারে প্রেরণ করে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে নিহত সামসুন্নাহার এর লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সামসুন্নাহারের পিতা বঙ্গুল মিয়া বাদি হয়ে জামাতা সহিদ আহমদকে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৫ (০৫-১০-১৮)।
পুলিশ জানায়, সহিদের সাথে প্রায় সময়ই তার স্ত্রী সামসুন্নাহারের ঝগড়া হত। ঘটনার দিনও তাদের দুজনের মধ্যে বেশ ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সহিদ উত্তেজিত হয়ে নিজ ঘরের মধ্যেই দুই সন্তানদের সামনে তার স্ত্রীকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কীটনাশক পান করে এয়ারপোর্ট থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যায়। এসময় পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল শুক্রবার ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সহিদকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, স্ত্রীকে পারিবারিক কলহের কারণে সহিদ হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। থানা আসার আগে সে নিজেই কীটনাশক পান করে আসে। থানায় আসার পর পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়।।
ঘাতক সহিদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে সংসারিক ঝামেলা চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার ঝগড়া এক পর্যায়ে সহিদ তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পন করে। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার নিহত গৃহবধূ সামসুন্নাহারের পিতা বঙ্গুল মিয়া বাদি হয়ে জামাতা সহিদকে একমাত্র আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার পুলিশ আদালতের মাধ্যমে সহিদকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।