নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিলেটে পালিত হয়েছে বিশ্ব হার্ট দিবস। এবারের শ্লোগান ছিল আমাদের হার্ট আমাদের, অঙ্গীকার। হার্ট দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে সিলেট হার্ট এসোসিয়েশন নগরীর রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়াম থেকে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এর আগে শ্রকবার রাতে নগরীর একটি হোটেলে বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন ও হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতি বছর ১৭৫ মিলিয়ন মানুষ হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারনে অকালে মারা যান। এটি এখন বিশ্বের এক নম্বর মৃত্যুর কারন। এই সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৩ মিলিয় ছাড়িয়ে যাবে। আর এটি থেকে মুক্তি পেতে একটু সতর্কতাই বাঁচাতে পারে আপনার মূল্যবান জীবন। এজন্য নিজের শরীরকে সবসময় সতেজ রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার খেতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে ধুমপানকে না বলতে হবে। কর্মঠ হতে হবে। এজন্য নিজের ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগাতে হবে। আর এগুলো করতে পারলেই আমরা সুস্থ হার্ট নিয়ে বেশী দিন বাঁচতে পারব।
শনিবার সকালে র্যালির উদ্বোধন করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একে মাহবুবুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বিএমএ’র সিলেটের সভাপতি ডা. রোকন উদ্দিন।
সিলেট হার্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সুধাংশু রঞ্জন দে’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএম হাবিবউল্লাহ সেলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিশির কুমার বসাক।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শুয়াইব আহমদ শোয়েব, ডা. জি.এম মুহিউদ্দীন, ডা. হিরন্ময় দাস, ডা. আজিজুর রহমান রোমান, ডা. শাকির আহমদ শাহিন, ডা. ইকবাল আহমদ, ডা. রাজীব দাস, ডা. ফারজানা তাজিন, ডা. মাহবুবুল আলম জীবন, ডা. ফখরুল ইসলাম, ডা. আদিল মাহমুদ, ডা. সুহেল আহমদ প্রমুখ।
শৃক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় হৃদরোগ বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চিকিৎসা পেশায় মেধাবীরা এখন আসছেনা। একারনে চিকিৎসা পেশার মান কমছে। চিকিৎসা পেশায় মেধাহীনদের আটকাতে হবে। মেধাবীদের প্রাধান্য দিলে চিকিৎসা পেশায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। বিজ্ঞপ্তি