স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। সিলেট সিটি নির্বাচনের পূর্বে ২১ জুলাই ২ কর্মীর মুক্তির দাবির ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
এ মামলার আসামী আলী আহমদসহ অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে পূর্বে জামিন নিয়েছিলেন। পরের কার্যদিবসে আলী আহমদ নিম্ন আদালতে হাজিরা দেননি। হাজিরা না দেয়ায় মঙ্গলবার নিম্ন আদালত থেকে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই সিলেট সিটি নির্বাচনের পূর্বে ২ কর্মীর মুক্তির দাবীতে শাহজালাল উপশহরে মহানগর পুলিশ উপ কমশিনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রায় ২ ঘন্টা সড়কে বসে তারা ২ কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাদের জানান, ওই দুজনকে ওসমানীনগর থানার একটি নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখান থেকে চলে যান। ওই ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
জেলা ও মহানগর বিএনপির নিন্দা: সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদকে কারাগারে পাঠানেরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গতকাল মঙ্গলবার সাকলে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এর প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এর বিববৃতিতে সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, জেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আলী আহমদ মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া তা নামঞ্জুর করে আলী আহমদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে পুলিশের এসব হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আলী আহমদসহ কারাগারে আটক বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে সিলেট জেলার আওতাধীন ১৩টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভা বিএনপির নেতবৃন্দ আলী আহমদকে পুলিশের হয়রানীমূলক গায়েবী মামলায় কারাগারে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশত মুক্তির দাবী জানান। বিবৃতি দেয়া নেতৃববৃন্দ হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি কামরুল হুদা জায়গীরদার, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, বিশ্বনাথ উপজেলা সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলা সভাপতি সৈয়দ মোতাহির আলী চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক তাজ মো. ফখর উদ্দিন, গোয়াইনঘাট উপজেলা সভাপতি সভাপতি ওসমান গণি, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বপন, জৈন্তাপুর উপজেলা সভাপতি এনায়েত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমদ নিহার, কানাইঘাট উপজেলা সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, বিয়ানীবাজার উপজেলা সভাপতি নাজমুল হোসেন, পুতুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. আব্দুল গফুর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নোমান উদ্দিন মুরাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, বিয়ানীবাজার পৌর সভাপতি আবু নাসের পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রুমেল, গোলাপগঞ্জ পৌর সভাপতি মুসিকুর রহমান মহি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কানাইঘাট পৌর সভাপতি শরিফুল হক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ডিপজল, জকিগঞ্জ পৌর সভাপতি আব্দুল জলিল ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম।