আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে দেদারছে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ইজিবাইক। একটি বা দুটি নয় প্রায় সাড়ে ৩ শত ইজিবাইক চলছে এ বাজারটিতে। এসব ইজিবাইকের চালকদের যেমন কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তেমনি নেই রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন।
জানা যায়, বাদাঘাট বাজার হতে পাতারগাঁও, বাদাঘাট বাজার হতে জামতলা বাজার,বাদাঘাট বাজার হতে সোহালা গ্রাম, বাদাঘাট বাজার হতে পাটানপাড়া বাজার, বাদাঘাট বাজার হতে ঘাগরা গ্রাম, বাদাঘাট বাজার হতে ঘাগটিয়া গ্রাম, বাদাঘাট বাজার হতে কাশতাল গ্রাম, বাদাঘাট বাজার হতে গুটিলা গ্রাম ও বাদাঘাট বাজার হতে শিমুলবাগানসহ প্রায় ১০টি পৃথক রোডে প্রতিনিয়ত এসব ইজিবাইক পরিচালিত হচ্ছে। ইজিবাইকের বেশীর ভাগ চালকরাই হচ্ছে ১০ থেকে ১২ বছরের শিশু কিশোর। যারা এ বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা তাদেরকে বাধ্য করে এসব রাস্তায় চালকের পেশায় নামানো হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের দ্বারা পরিচালিত ইজিবাইকের ধাক্কা ও আঘাতে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ মানুষের ঘরবাড়ি। গত মাসে গুটিলা গ্রামের রইছ উদ্দিনের ঘর ভেঙ্গে ফেলে এক আনাড়ি চালক। প্রশিক্ষণবিহীন এক চালকের বেপরোয়া গতিতে ইজিবাইক চালানোর কারণে ছমেদ মিয়া নামের এক কৃষক ও তার মেয়ে আহত হয়। ৪ মাস আগে মানীগাঁও গ্রামের ১৭ বছরের এক যুবক ইজিবাইকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যায়। কয়েকদিন পূর্বে নোয়াগাঁও ব্রীজের নিকটে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাদাঘাট বাজার থেকে পাতারগাও গ্রামে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় সোনাপুর গ্রামের রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটায় একটি ইজিবাইক। এতে ৪ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ইউনিয়নের সাধারন মানুষ ঘাতক ইজিবাইক বন্ধ করার পক্ষপাতি। তারপরও বন্ধ হচ্ছেনা যন্ত্র নামের এই দানব। বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন বলেন,আমার ইউনিয়নের সব রাস্তাঘাটগুলোতেই ইজিবাইক চলছে। কেউ আইন মানছেনা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ইজিবাইক বন্ধ করার জন্য জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আমি কোন নির্দেশনাও পাইনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন,আমরা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে নিজ নিজ দায়িত্বে অটো ইজিবাইক বন্ধ রাখার জন্য চালকদের নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও যদি চালকরা স্বেচ্ছায় এ পথ থেকে সরে না দাড়ায় তাহলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটি থেকে কর্মস্থলে ফিরলেই আমরা মোবাইল কোর্টের আওতায় অভিযান চালিয়ে ইজিবাইক বন্ধের ব্যবস্থা নেব।