গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে গভীর রাতে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে গোলাপগঞ্জ ইউপির সদর ইউপির রানাপিং (ফাজিলপুর) গ্রামের শেফা মঞ্জিলে মরহুম তেরা মিয়া খান এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ১৫/২০জন’র সংঘবদ্ধ মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরের সামনের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে গৃহকর্তা মরহুম তেরা মিয়া খান এর ছোট ভাই মোঃ মাতাব মিয়া খাঁনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় মাতাব মিয়ার ছোট মেয়ে ইমরানা খাঁনকে ষ্টিল আলমারীতে চাবি দেওয়ার জন্য ধারালো অস্ত্র ধরে চাপ সৃষ্টি করে। সে চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী রুম থেকে আর্তচিৎকার শোনে মাতাব মিয়ার ছেলে মাছুম আহমদ এগিয়ে আসলে ডাকাতরা মাছুম আহমদের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রচন্ডবেগে আঘাত করে তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তার মা হেনা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও ডাকাতরা প্রহার করে। পরে ষ্টিল আলমারী, ওয়্যারড্রোব, ক্যাবিনেট’র তালা ভেঙ্গে সমস্ত মালামাল তছনছ করে। এ সময় আলমারীতে সংরক্ষিত লাইসেন্সধারী বন্ধুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ১১ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০হাজার টাকা, বিভিন্ন ধরনের ৭টি স্মার্টফোনসহ ১টি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবং উন্নত প্রযুক্তি সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িতদের শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।