সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুজন সু-শাসনের জন্য নাগরিক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কমিটি ও পিপিজির উদ্যোগে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীণ ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হেেছ। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোলটেবিলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা অংশ নেন। এছাড়াও সুজন ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম বলেন, এ সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনেক নজির রয়েছে। আমি ১৯৬৭ সাল থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দল মনোনয়ন না দিলেও আমি নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছি একমাত্র সরকারে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কারণে। আমি বিশ্বাস করি এ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সুষ্ঠু হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আব্দুল হক বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাসী। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়। কিন্তু সরকার নির্বাচনের আগেই যে ভাবে মামলা দিচ্ছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মানুষ শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই স্থানীয় ভাবে নির্বাচনে সহিংসতা যাতে না হয়। কিন্তু রাজনীতি করতে হলে ওপরের নির্দেশ মেনেই করতে হয়। আমরা আশা করবো নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
ইউকে-এইড ও ইউএস-এইড এর সহযোগীতায় এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ, ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের অংশীদারীত্বে বাস্তবায়িত “স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর এসপিএল প্রকল্পের আঞ্চলিক সমস্বয়কারী মোঃ মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় ও সুজনের সভ্পাতি শেখ এটিএম আজরফের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, আয়শা আক্তার, মহরম আলী, আব্দুল কাহার, রেশমা আক্তার, নুরুল আমীণ, আব্দুল আওয়াল, রজব আলী, আমান উল্লা, এখলাচুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, আক্তুরুজ্জামান হানিফ, সিরাজুল ইসলাম, সালেহ আহমেদ, দিলীপ কুমার বর্মণ, ফারুক রানা, সিরাজুল ইসলাম, হুমায়ূন রশিদ, রোকিয়া খাতুন, মদিনা আক্তার, আনেয়ার হোসেন খোকন, জান্নাত মরিয়ম প্রমূখ। অংশগ্রহনকারীগণ দিরাইকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি উদার, সহিষ্ণু, বহুত্ববাদী, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, মুক্ত, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সহিংসতাবিহীন একটি মানবিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলসমূহের শীর্ষ নেত্রীবৃন্দদের নিয়েনির্বচনকালীন রাজনৈতিক সম্প্রতীর উপর আলোচনা করা হয়।