কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করার দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে সেবা হিসেবে নিতে হবে, ব্যবসা হিসেবে নয়। সার্টিফিকেট বাণিজ্য করলে তা কখনো সহ্য করা হবে না। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতে পারবে না।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বাণিজ্য বরদাস্ত করা হবেনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করার দিন শেষ। টাকা আয়ের জন্য অন্য ব্যবসা করুন। মুনাফা করতে আসবেন না, তাহলে টিকে থাকতে পারবেন না। যারা শর্ত মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাবে তারাই টিকে থাকবে। অন্যথায় বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল খুবই কম। বর্তমানে ৪৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ার কারণে পার্থক্য করা হয়। স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করিনা। চাকরিসহ সবক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা আমাদের কাছে সমান।
বিচার কার্যক্রম স্বাধীনভাবে কাজ করছে জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি হয়েছিল। সেই মামলায় খালেদা জিয়া জেলে। এ জন্য বর্তমান সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারই দায়ী। অথচ খালেদা জিয়া জেলে থাকার জন্য বিএনপি সরকারকে দায়ী করে। এটি সম্পূর্ণ ভুল।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলো বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে দেশে ইসলাম থাকবে না। আজান হবে না ও মাদরাসা শিক্ষা থাকবে না। অথচ দেশে এখন ইসলামি শিক্ষা অনেক উন্নত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নতুন করে সাড়ে তিন হাজার মাদরাসা নির্মাণের কাজ চলছে। আধুনিক মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে জেলা শহরগুলোতে। এ থেকে বুঝা যায়, কারা ইসলাম প্রিয়।
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান জহির আহমদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শিরীন শারমিন প্রমুখ।