স্টাফ রিপোর্টার :
যৌতুকের জন্য নির্যাতিত এক নারী স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন নগরীর বালুচরের আকলিমা বেগম (২৮) নামের এক নারী। তার অভিযোগ- তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। ৪ সন্তান নিয়ে এখন বালুচর ফোকাস আবাসিক এলাকায় পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন তিনি। এ ঘটনায় শাহপরাণ (রহ.) থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে সুনামগঞ্জের সুরমা ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামে তাজুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের প্রথম বছর ভালো কাটলেও কিছুদিন পর শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার। ব্যবসা করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামী তাজুল ইসলাম। সেটি দিতে না পারায় স্বামীর পুরো পরিবার মিলেই নির্যাতন করতো তার উপর। বেশ কয়েকদিন নির্যাতিত হলেও কাউকে কিছু জানাতো না আকলিমা। এক পর্যায়ে বাবার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে স্বামীকে দিলেও বন্ধ হয়না নির্যাতন। বাকি আরো চার লাখের জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী ও তার পরিবার। শেস পর্যন্ত আর টাকা না দিতে পারায় গত মাসে স্বামী, ভাসুর ও শ্বশুর মিলে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবিষয়ে আকলিমার পিত্রালয়ে সালিশ বসলে সালিশের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরেক দফা মারধর করে আকলিমাকে। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় আকলিমাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আকলিমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ মিয়া জানান, আমি দরিদ্র মানুষ, নিজেই খুব কষ্টে দিন কাটাই। বালুচর পয়েন্টে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান আছে আমার। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খাই এতো টাকা কিভাবে দেবো।
ভুক্তভোগী আকলিমা বলেন, আমার চার সন্তান নিয়ে এখন আমি কোথায় যাবো? এই বয়সে বাবা আমার ভরণ পোষণ করবে কি করে? তারা নিজেরাই চলতে পারেনা ঠিকমতো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি যার তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা হবে।