স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সিলেট অফিসের কার্যক্রমের উপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিআরটিএ সিলেট কার্যালয়ে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবির বসাক।
শুনানিকালে উপস্থিত লোকজন ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট পেতে বিলম্বের কথা তুলে ধরে তারা এমন ভোগান্তি নিরসনে ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। একই সঙ্গে দ্রুত লাইসেন্সপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়ার দাবি জানান।
এছাড়া হালকা থেকে মিডিয়াম ও মিডিয়াম থেকে ভারী যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে নবায়নের আবেদনের ক্ষেত্রে সময়সীমা তিন বছরের বদলে সময় কমিয়ে এক বছর করার দাবি জানান। পাশাপাশি গাড়ির ফিটনেস একদিন পরে পাওয়া কথা থাকলেও তা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ভুক্তভোগীদের জবাবে গণশুনানি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবির বসাক বলেন, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট প্রাপ্তিতে সেবাগ্রহিতারা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে নজরদারি বাড়ানো এবং বিআরটিএ’র কার্যক্রম গতিশীল করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, হালকা থেকে মিডিয়াম ও মিডিয়াম থেকে ভারী যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ও আবেদনের ক্ষেত্রে সময়সীমা তিন বছরের বদলে সময় কমিয়ে এক বছরে আনার সুপারিশ করবেন।
বিআরটিএ সিলেট সার্কেলের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ, বিআরটিএ সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক কেএম মাহবুব কবীর, বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ডালিম উদ্দিন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আরটিসি সদস্য জাবেদ সিরাজ, দিলু মিয়া, পুলক কবীর চৌধুরী প্রমুখ।