পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
ঈদ উল আযহার আর কয়েক দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে মধ্যে জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের কোরবানি পশুর হাট। ভাল দামে নিজের কষ্টে পালিত গরু বিক্রি করতে হাটে ভিড় করছেন বিক্রেতারা, তেমনি পছন্দের গরু কিনতে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। কোরবানির জন্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় পশু ভালো মানের আমদানি হচ্ছে হাটগুলোতে। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি কোরবানির জন্য পশুর দাম অনেক কম থাকায় ক্রেতারা পশু কিনছেন অতি আনন্দে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে কমলগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আদমপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা সারি সারি গরু সাজিয়ে রেখেছেন। বিক্রেতারা লাল কালো সাদাসহ বিভিন্ন বর্ণের ছোট-বড় গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া গরুরহাটে তুলেছেন। এখানে উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছিল। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল এ পশু হাটটি। দেখে শুনে মোটাতাজা গরু কিনতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। হাট ঘুরে দেখে নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে গরু কিনছেন ক্রেতারা। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর সরবরাহই বেশি। ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে পছন্দের গরু।মন্নান মিয়া ও রাহেল মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, ঈদের এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তাই এখন গরু দেখতে এসেছি। দামে দরে মিললে হয়তো কিনতেও পারি। মাহবুবুল আলম নামে এক গরু বিক্রেতা জানান, এখনও বাজারে পুরোদমে গরু বেচা-কেনা হচ্ছে না। তবে দু’একদিনের মধ্যে পুরোদমে জমে উঠবে। এছাড়া এবারের ঈদে ভারতীয় গরু না আসলে দেশীয় গরুর খামারিরা লাভবান হবে বলে তিনি জানান।
আদমপুর বাজারে গরু কিনতে আসা শ্রীপুর গ্রামের করিম হোসেন জানান, গরুর দাম এবছর স্বাভাবিকই রয়েছে, তেমন একটা দাম বাড়েনি। গরু বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, ভালভাবেই গরু বিক্রি করতে পারছেন তিনি। কিন্তু গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে এ বছর বেশি লাভ করতে পারেননি তিনি। হাটে আগত কয়েকজন ক্রেতা জানান, দাম এবার খুব বেশি না। তবে পশু হাটের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে কমলগঞ্জের গরুগুলো স্বাভাবিকভাবেই মোটাতাজা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার মুন্সীবাজারেও বসেছিল গরু-মহিষের বিরাট হাট। রোববার শমশেরনগর ও কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারে কোরবানীর পশুর হাট বসবে।
কমলগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই বলেন, আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিটি কোরবানীর হাটই তদারকি করছি। খামারিরা যেন কোন প্রকার ওষুধ ব্যবহার না করেন সে ব্যাপারে তাদের পরামর্শ দেয়া ও তদারকি করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোকতাদির হোসেন পিপিএম বলেন, কোরবানীর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা দিতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।