কাজিরবাজার ডেস্ক :
উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা ছয় শতাধিক শরণার্থী ভূমধ্যসাগরে আটকা পড়েছে। তাদেরকে ইতালিতে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইতালির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি।
বরং তাদেরকে গ্রহণ করতে ভূমধ্যসাগরের দেশ মাল্টাকে চিঠি পাঠিয়েছে ইতালি। তবে শরণার্থীদের নৌকা যে অঞ্চলে সেটি ইতালি নিয়ন্ত্রনাধীন বলে জানিয়ে দিয়েছে মাল্টা।
এমন অবস্থায় ভূমধ্যসাগরে আটকা পড়া এসব শরণার্থীদের শেষ আশ্রয় কোথায় হবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সালভিনি বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে আফ্রিকা ও আমাদের দেশের শিশুদের শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা। তিনি এখন থেকে ‘ইতালি ফার্স্ট’ নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথাও জানান।
রবিবার দাতব্য সংস্থা এসওএস মেডিটিরিয়ান এক টুইটে জানায় যে, তাদের জাহাজ, দ্য একুয়ারিস ৬২৯ জন শরণার্থী ও অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ১২৩ জন অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক, ১১ শিশু ও ৭ জন গর্ভবতী নারী রয়েছেন।
দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা লিবিয়া উপকূলের ছয়টি পৃথক স্থান থেকে এইসব অভিবাসী ও শরণার্থীদের উদ্ধার করেছে। তারা আরো জানিয়েছে, জাহাজটি এখন একটি নিরাপদ স্থানে যাচ্ছে। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বলা হয়নি।
বর্তমানে জাহাজটি যে পথে যাচ্ছে সে পথে যাত্রা অব্যাহত রাখলে জাহাজটি মাল্টা অতিক্রম করে ইতালিতে পৌঁছাবে। বর্তমানে জাহাজটি ইতালি থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে এবং মাল্টা থেকে ২৭ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে রয়েছে।
গত পাঁচ বছরে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ছয় লাখেরও বেশি শরণার্থী ইতালিতে প্রবেশ করেছে। তবে শরণার্থী প্রবেশের লাগাম টানতে চাচ্ছেন নতুন সরকার।
সম্প্রতি হওয়া দেশটির জাতীয় নির্বাচনে প্রধান ইস্যু ছিলো অভিবাসন। দেশটিতে শরণার্থী ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই জয় পেয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। আর তাদের সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে।