সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজ মাঠে গোলাপগঞ্জ বাজার পশুর হাট নিয়ে ইজারাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখরের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ আইনগত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এই হাটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের সরকারি এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’পক্ষের ৩/৪জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় ও ইজারদার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে বহিস্কৃত আ’লীগ নেতা আকবর আলী ফখরের লোকজন গোলাপগঞ্জ বাজারের ইজারদারের কাছে নগদ দু’লক্ষ টাকা ও প্রতি বাজারে ২০হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করে। বাজারের ইজারদার তাদের কথামতে টাকা না দেয়ায় শনিবার সকাল থেকেই ফখরের লোকজন গোলাপগঞ্জ বাজার কোরবানির পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পশু ফিরিয়ে দেয়। এ খবর ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানতে পারলে অপর পক্ষের সাথে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। হাটে বাধা দেওয়া ফখরের লোকজন বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে ইজারদার পক্ষের লোকদের উপর চড়াও হলে স্থানীয় লোকজন,পুলিশ ও ইজারাদার কর্তৃপক্ষের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির ছুড়ার ঘটনাও ঘটেছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ বাজার পশুর হাটের ইজারাদার হাজ্বী আব্দুল কাদির জানান, ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কাছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখর ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে আমরা তা দিতে অস্বীকার করি। এর জন্য সে তার লোকদের নিয়ে বাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পশু বাজারে আসতে দেয়নি। এছাড়াও বাজারে তার পক্ষের লোকজন পশুর হাটে বাধা সৃষ্টি করলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আমার পক্ষের লোকজন বাধা দেয়। এসময় আকবর আলী ফখরের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা এই বিষয়ে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ রাতে বসে আইনের স্বরণাপন্ন হব। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অপারেশন) দেলওয়ার আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ এ হাটের বৈধতা রয়েছে। আজ রোববার জেলার আইনশৃংঙ্খলার সভায় আমি বিষয়টি তুলে ধরবো।