জগন্নাথপুরে ধান থাকলেও রাখার জায়গা সংকট

45

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে ধান থাকলেও রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে ৫০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পুরাতন খাদ্য গোদাম রয়েছে। এছাড়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ বাজারে ৫০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আরো দুইটি জরাজীর্ণ খাদ্য গোদাম আছে। তবে এ দুইটি খাদ্য গুদামের সংস্কার কাজ চলছে।
এদিকে-জগন্নাথপুরে এবার বাম্পার বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে। কমবেশি প্রায় সকল কৃষকের গোলায় রয়েছে ধান। ন্যায্য মূল্যে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। যদিও বর্তমানে খোলা বাজারে ৭ থেকে ৮শ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ১০৪০ টাকা মণ দরে ধান কিনছে। যে কারণে সরকারের কাছে উচ্চ মূল্যে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আবদুল হান্নান কামাল বলেন, সরকার এবার জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে জনপ্রতি এক টন করে মোট ৪৭৪ টন ধান ক্রয় করবে। এর মধ্যে ১০২ টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। আরো প্রায় ৫০ টন ধান ক্রয় করা যাবে। গুদামে জায়গা সংকটের কারণে পুরো ধান ক্রয় করা যাচ্ছে না। তবে গোদামে থাকা ধান মিলিং হওয়ার পর গোদাম খালি হলে বাকি ধান ক্রয় করা হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি ধান-চাল সংরক্ষণের জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে আরেকটি খাদ্য নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।