কমলগঞ্জে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

25

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতি লিটার ১শ’ টাকা থেকে ক্রমাম্বয়ে দাম বেড়ে খুচরা বাজারে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার উপজেলার শমসেরনগর বাজারের মোদি দোকান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সরেজমিন শমশেরনগর ও ভানুগাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছুদিন আগেও সোয়াবিন তেলের প্রতি লিটার ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১২৫ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে পাম অয়েলের প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। ভোজ্য তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। তবে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।
ক্রেতারা জানান, হাটবাজারে টিসিবি’র পণ্য যথাযথ না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া টিসিবি’র পণ্যও সঠিকভাবে বিক্রি হয় না। অনেক সময় কালোবাজারে চলে যায়। ফলে নিম্ন আয়ের লোকদের ভোগান্তি থাকতে হয়।
আব্দুল খালিক, কৃষক মানিক মিয়া, গৃহিনী হাজেরা বেগম বলেন, দৈনিক যে আয় হয় তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চালানো দায়। এরপরও ঔষধপত্র, কাপড় চোপড়, সন্তানদের পড়াশুনা করানোর খরচটাও বহন করতে হয়।
তারা আরও বলেন, এতোদিন পেঁয়াজ ও আলুর বেশি দাম থাকায় ভোগান্তি হয়েছে। সেগুলোর দাম কমতে না কমতে তেলের দাম বেড়ে গেছে।
আসলে এই দামে তেল কেনা ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
কাইয়ুম উদ্দীন, সায়েদ মিয়া, কুদ্দুস মিয়াসহ কয়েকজন মোদি ব্যবসায়ী বলেন, নতুন যেসব মালামাল শ্রীমঙ্গলের পাইকারী বাজার থেকে কিনে এনেছি সেখানে বোতলজাত সোয়াবিনের প্রতি লিটার ১২৯ টাকা। আর বোতলের গায়ে লিখা খুচরা বাজারের দর ১৩৫ টাকা। ফলে আমরা ১৩৫ টাকাই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
এ ব্যাপারে শমশেরনগরের টিসিবি’র ডিলার মো. জয়নাল মিয়া বলেন, মাত্র ২শ’ লিটার সোয়াবিন তেল আর ৩ হাজার কেজি পেঁয়াজ দেয়া হয়। এতে দ্রুত সোয়াবিন তেল শেষ হয়ে যায় এবং পিঁয়াজ রয়ে যায়। যে কারণে গত দু’মাস ধরে আমি টিসিবি’র কোন মালামাল বিক্রি করছি না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দর নেমে যাওয়ায় এতে ক্রেতাদের চাহিদা নেই।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, যেহেতু এখন ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে তাই যাতে ভোজ্য তেল বেশি বরাদ্ধ হয়, সে বিষয়ে টিসিবি’র উর্দ্বতন পর্যায়ে কথা বলবো।