স্টাফ রিপোর্টার :
১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাব্বির আহমদ চৌধুরী (মিষ্টি কুমড়া প্রতীক) নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট ক্রয় করছেন। ২৪ জুলাই বিকালে তাতীপাড়া মসজিদ সংলগ্ন বাসায় একটি ফাউন্ডেশনের কার্ড ও মসজিদ দেখিয়ে পবিত্র কোরআনের উপর এক হাজার টাকা করে রেখে পুরুষ ও নারী ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করছিলেন।
বুধবার বেলা ২টায় সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে এমন অভিযোগ করেছেন ১৬নং ওয়ার্ডের সওদাগরটুলা-৩২ এর বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। খবর পেয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও একদল পুলিশ ঐ বাসায় যায়। তখন কাউন্সিলর প্রার্থী সাব্বির আহমদ চৌধুরী টাকা ও কোরআন শরীফ তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেন।
লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, খবর পেয়ে অপর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, ইকরামূল আজিজ ও বেলায়েত আহমদ লিটন সেখানে যান। তখন কাউন্সিলর প্রার্থী সাব্বিরের নির্দেশে সন্ত্রাসী শিপলু আহমদসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক হামলা চালায়। এতে কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদের হাত ভেঙ্গে যায়। হামলার সময় অজ্ঞাত কারণে পুলিশ দল নীরব ভূমিকা পালন করে।
হামলায় গুরুতর আহত কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভা করেছেন এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এলাকাবাসী একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান। কিন্তু কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সাব্বির আহমদ চৌধুরী (মিষ্টি কুমড়া) অর্থ ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়ী হতে আধাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ওয়ার্ডবাসী কাউন্সিলর প্রার্থী সাব্বির আহমদ চৌধুরীর এহেন অপকর্ম, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইন ও বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি ও দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছত্তার মিয়া, আব্দুর রব, ইকবালুর রহমান কামাল, ইকরাম আহমদ, আব্দুল মুমিন, আলী হোসেন হাসনু, আব্দুল আহাদ সাহেদ, জাকির হোসেন, আসাদ আহমদ, আসিক আহমদ, আব্দুর কুদ্দুছ, সুমিত আহমদ, সেমুল আহমদ, মো. ফয়জুল হাসান, আবিদ আহমদ, রব্বানী খান, মিজান খান প্রমুখ।