সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের একটি ইটখলা থেকে এক অপহৃতা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। উদ্ধারকারীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকাধীন (এসপি বাসভবন সংলগ্ন) বাসা থেকে বের হয়ে সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করার সময় একদল পাচারকারী চোখমুখে রুমাল পেছিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। বিকেল ৪টায় সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের পার্শ্ববর্তী আজিজ ইটখলার সামনে ভিকটিম মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। ঐ সময় স্থানীয় ভল্লবপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার নামের আরেকজন সহপাঠি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে চিনতে পেরে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ভিকটিম ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে প্রেরণ করে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভিকটিম ছাত্রীর পিতা মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ে ঢেকে এনে তার কন্যাকে সমজিয়ে দেন। মহসীন আলী পরে মেয়েটিকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে তুলেন। বর্তমানে ঐ ভিকটিম নিজ বাসভবসে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেন,ভিকটিকে রুমাল পেছিয়ে অজ্ঞান করার আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়া তার শারীরিক বা মানসিক কোন ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রশ্ন প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ছাত্রীকে পাচারকারী চক্র পাচার করে নেয়। অথচ সুনামগঞ্জ শহরের টহলরত পুলিশের কোন ভূমিকা নেই। ভিকটিম ছাত্রীর পিতা মহসীন আলী বলেন, আমার স্ত্রী আমার ২ কন্যাকে নিয়ে বাসা থেকে হেটে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। বড় মেয়েকে এগিয়ে দিয়ে ছোট মেয়েটিকে নিয়ে শহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌছে দেওয়ার সুযোগে পাচারকারী চক্র মেয়েটিকে পাচারের উদ্দেশ্যে নাকমুখে রুমাল পেছিয়ে অজ্ঞান করে আমার মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সম্ভবত পাচারকালে পাচারকারীরা ধরা পড়ার আশঙ্কায় আমার মেয়েটিকে ইটভাটার কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সুনামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ভাগ্যগুনে মেয়েটিকে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি। তবে ভবিষ্যতে পাচারকারী চক্রের অপতৎপরতা মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসন ও অভিভাবকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।