সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার অব. ডা. আব্দুল মালিক বলেছেন, বঙ্গবীর জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী ছিলেন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম, কিংবদন্তিতুল্য মহান ব্যক্তিত্ব। যার তুলনা শুধু তিনি নিজেই। ওসমানী ছিলেন একজন আপোষহীন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিশুদ্ধ গণতন্ত্রী এবং জাতীয়তাবাদী নিখাদ দেশপ্রেমিক। দেশ ও জাতির প্রয়োজনেই ওসমানীকে স্মরণ করতে হবে।
বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীর জন্ম শতবার্ষিকী ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে তিন মাসব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট নগরীর উত্তর জেল রোডস্থ একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে বুধবার (২৭ জুন) দুপুরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী বলেন, বঙ্গবীর ওসমানীর কাছে দেশ ও জাতি অপরিশোধ্য ঋণে আবদ্ধ। মাতৃভূমির মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও যথার্থ মূল্যায়ন আমাদের নিজেদের সার্থেই হওয়া প্রয়োজন।
সভায় উদযাপন পরিষদ গৃহীত তিন মাসব্যাপি কর্মসূচি উপস্থাপন করেন পরিষদের সদস্য-সচিব ও প্রধান সমন্বয়ক এবং দৈনিক সিলেট সংলাপ সম্পাদক মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান।
তিনি তিন মাস ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং কর্মসূচী সমূহ সফলে সাংবাদিক মহল সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইট উদ্বোধন, শোভাযাত্রা ও মোটরসাইকেল র্যালী, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব ও রচনা প্রতিযোগিতা, স্মরণিকা প্রকাশ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, কবিতা পাঠের আসর, আবৃত্তি উৎসব, ওসমানী পদক প্রদান, জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক প্রকাশ, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সদস্য-সচিব ও বাংলা টিভি’র সিলেট ব্যুরো চিফ আবু তালেব মুরাদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, উদযাপন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ও স্পেশাল পিপি এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধুরী, লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী ও মিসবাহ জামাল এবং প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল মালিক জাকা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি