সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির ‘প্রত্যয়’ স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে ১০ম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে এত দিনেও দাবি পূরণে সরকারের তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে তাদের। এমনকি আরো কোনো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন তাঁরা।
সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভ‚ঁইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অপর দিকে সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোঃ শরীফ হোসেন ভ‚ইয়ার সভাপতিত্বে বিশ^বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মুখে কর্মবিরতি, মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘প্রত্যয়’ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি বাতিলসহ শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং সুপারগ্রেড প্রণয়নের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতিতে নামেন ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে একই দাবিতে যোগ দিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মাচরীরা। ফলে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা, প্রশসনিক কার্যক্রম স্থগিত সহ পাঠাগারও বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভ‚ঁইয়া বলেন আমরা করুণা চাচ্ছি না, শিক্ষক নেতারা মনে করেন, ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার আন্দোলন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আত্মমর্যাদার লড়াই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি করে যাচ্ছি। কিন্তু দাবি মানার কোনো অবস্থা দেখছি না। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, দাবি আদায় করেই আমরা ক্লাসরুমে ফেরত যাব।’
অফিসার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়া বলেন প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আন্দোলন আরো জোরদার হবে। এমনকি শিক্ষার্থীদের মতো অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোঃ শরীফ হোসেন ভ‚ইয়া বলেন অর্থমন্ত্রী কী বুঝে প্রত্যয় স্কিম সমর্থন করলেন, আমরা বুঝি না। অনেক খুঁজেও এতে একটা ভালো দিক আমরা পাইনি। এসময় তারা অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।