কাজিরবাজার ডেস্ক :
কুমিল্লায় বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে আট জনকে হত্যার ঘটনায় করা একটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাবেন কি না, সে জন্য আরও আট দিনের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদনের বিষয়ে আগামী ২ জুলাই আদেশ দেবে আপিল বিভাগ।
তিন সপ্তাহের অবকাশকালীন ছুটি শেষে রবিবার সকালে সর্বোচ্চ আদালত খোলার প্রথম দিনই খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর শুনানি হয়। আর এরপর এই সিদ্ধান্ত জানায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপিল বিভাগ।
২০১৫ সালের শুরুতে বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকার পতনের আন্দোলনের সময় ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে আট জন যাত্রী নিহত হন।
এই ঘটনায় করা দুটি মামলায় খালেদা জিয়াকে করা হয় হুকুমের আসামি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিলের পর বিএনপি প্রধান জামিনও পেয়েছেন। তবে তার মুক্তির জন্য কুমিল্লার দুই মামলাসহ আরও অন্তত ছয়টি মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে।
গত ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার এই দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেন। সেদিনই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৯ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত রেখে ৩১ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন। সেদিন শুনানির পর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রেখে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে আদেশ দেয়। পরে এই মামলায় শুনানির দিন নির্ধারণ হয় ২৪ জুন।
সর্বোচ্চ আদালতে খালেদা জিয়াকে দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দীন খোকন।
এই দুটি মামলা ছাড়াও কুমিল্লাতেই পুলিশ ভ্যান পুড়িয়ে দেয়ার এক মামলা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিরুপ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নড়াইল আদালতে একটি এবং ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ আর চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার অভিযোগে মানহানি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।