শিবগঞ্জে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কিশোর খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের

30

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর শিবগঞ্জে মশিউর রহমান তাহমিন (১৬) নামে এক কিশোর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। গত শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত সোয়া ১০টার দিকে মিতালি ফার্মেসীর সামনে তারই বন্ধুর ছুরিকাঘাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাহমিন শিবগঞ্জ সোনারপাড়ার ৩৭৬নং বাসার মুজিবুর রহমানের পুত্র। তার গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ এলাকায়।
এদিকে মশিউর রহমান তাহমিন হত্যার অভিযোগে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিহতের পিতা মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে শাহপরান থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন। তিনি জানান, রাতেই কয়েস আহমদ (১৮) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার কয়েস আহমদ বর্তমানে নগরীতে বসবাস করলেও সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা। ওসি আখতার হোসেন বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তাহমিনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। কি কারণে তাকে হত্যা করছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে তাহমিন হত্যার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাফাত হোসেন (১৭) নামে নিহতের এক বন্ধুকে হেফাজতে নেয় শাহপরান থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ঈদেরদিন শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জ মিতালি ফার্মেসির উল্টোদিকের গলির ভেতরে কয়েকজন মিলে তাহমিনকে গলা ও গালে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাহমিন দৌড়ে মিতালি ফার্মেসির সামনে এসে পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত তাহমিনের পিতা মুজিবুর রহমান বলেন, তাহমিনের কয়েক বন্ধু সন্ধ্যার পর বাসায় বেড়াতে আসে। পরে নাস্তা খেয়ে তাহমিনকে নিয়ে বের হয়ে যায় তারা। তার ছেলেকে তারাই খুন করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাহমিনের এসব বন্ধুদের আমি আগে কখনও দেখিনি। তাই তাদের নাম বলতে পারছি না।
এদিকে, এ ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাত ১০টা এক মিনিটে মশিউর রহমান তাহমিন গলায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা পার হচ্ছে। রাস্তা পারের পর সে মাটিতে পড়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সিসিটিভির ফুটেজে আরও দেখা যায়, কয়েকজন ছেলে দৌড়ে পালাচ্ছে। তবে ঘটনাটি রাস্তার ওপারে হওয়ায় দৃশ্যটি সিসিটিভিতে পুরোপুরি আসেনি। তবে রাস্তার বিপরীত দিকে কিছু একটা ঘটছে, তা উপস্থিত মানুষের ভাবভঙ্গিতে বোঝা যায়।