স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ফুটপাত ছেড়ে হকাররা রাস্তার মধ্যে নিয়মিতই ব্যবসা করছে। অবৈধ হকারদের এমন দৌরাত্ম নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের এক যন্ত্রণার কারণ। প্রতিনিয়তই হকাররা ব্যবসা করলেও ঈদ, পূজা কিংবা বিভিন্ন উৎসবে তা রুপ নেয় ভয়াবহ আকারে। বিভিন্ন সময় তাদেরকে রাস্তার দুই-তৃতিয়াংশ জায়গাজুড়েও বসতে দেখা যায়।
নিজস্ব বিভিন্ন ছোট-খাট ব্যবসা নিয়ে কিছু হকার রাস্তায় নামলেও তাদের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যাদের বৃহৎ অংশ নিয়ন্ত্রণ হয় নগরীর প্রাণপ্রন্দ্র বন্দরবাজার এলাকা থেকে। প্রতিদিন ফুটপাত-রাস্তায় বসার জন্য এসব হকারকে দিতে হয় দৈনিক চাঁদা। তবে, এই সিন্ডিকেটের হকাররা বন্দরবাজার এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন নগরীর জনবহুল সব এলাকায়ই দেখা যায় হকারদের উপস্থিতি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে নগরীর জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকা। ব্যস্ততম এলাকা হওয়ায় সবসময়ই হকাররা জুড়ে বসেন জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকার রাস্তাঘাটে। এই হকাররা সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত না হলেও এখানে রয়েছে অন্য পদ্ধতি।
অভিযোগ আছে, ব্যস্ততম এই এলাকাগুলোতে হকার বসান বড় বড় দোকানের ব্যবসায়ীরা। নিজের দোকানের সামনের রাস্তা দখলে আনতেই এ পদ্ধতি অবলম্বন করেন তারা। আর হকারদের দোকানের সামনে বসিয়ে সামনের জায়গা দখলের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ভাড়াও আদায় করেন তারা। এ যেন বড় ব্যবসার সাথে হকার বসিয়ে আলাদা ব্যবসা। তবে, কোন ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানের সামনে হকার না বসানোর জন্য ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে নির্দেশ আসলেও তা মানছেন না। এমন কঠোর নির্দেশের পরও দোকানের সামনে হকারদের বসতে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। থামছে না তাদের বড় ব্যবসার আড়ালে রাস্তায় হকার বসানোর ব্যবসা।
মঙ্গলবার নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজারসহ বেশকয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় এই অবস্থা। হকার বসানো ছাড়াও দোকানের সীমানার বাইরে মালামাল সাজিয়ে রাখতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। এতে করে রাস্তার কয়েক ফুট জায়গা চলে যায় তাদের দোকানের জিনিষপত্রে। নগরীর রাস্তায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ এখন সিলেটের মানুষের দাবীগুলোর মাঝে অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে চলছে সিলেটের সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু গত সোমবার নগর ভবনে হকারদের হামলার ঘটনায় নতুন করে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে বিষয়টি।