স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বরইকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গৌছ মিয়া। পরে তার অনুসারীরা বাবনা পয়েন্টে গিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, মারামারি ও দোকান ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভাংচুর ও লুটপাটকৃত দোকানগুলো হচ্ছে- মেসার্স সামি পেইন্ট এন্ড হার্ডওয়ার-২, আলহাজ্ব হাবিব হোসেন স্টোর ও মাসুদ কোক্রারিজ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে বরইকান্দি ৭নং রোডের আব্বাস, মুমিনের মালিকানাধীন মেসার্স সামি পেইন্ট এন্ড হার্ডওয়ার-২ দোকান রয়েছে। সোমবার আসরের নামাজের পরে বরইকান্দি ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি গৌছ মিয়া নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দোকান খুলতে আব্বাস ও মুমিনদের নিষেধ করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষে বাকবিতন্ডা শুরু হলে এক পর্যায় আব্বাস ও মুমিন সহ তাদের লোকজন গৌছ মিয়ার উপর হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে গৌছ মিয়ার লোকজন বাবনা পয়েন্টে এসে হাবিব হোসেনের মালিকানাধীনসহ উল্লে¬খিত দোকানপাট ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বরইকান্দিতে আওয়ামী লীগের দুটি গ্র“পের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে বরইকান্দি ৬,৭,৮,৯ ও ১০নং রোডের ব্যবসায়ীদের দোকানপাঠ বন্ধ ছিল। কিন্তু শুধু আব্বাস ও মুমিনের মালিকানাধীন ৭নং রোডের মেসার্স সামি পেইন্ট এন্ড হার্ডওয়ার-২ দোকানটি খোলা ছিল। তাদের দোকান খুলা থাকায় গতকাল সোমবার বিকেলে গৌছ মিয়া সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ দোকান বন্ধ রাখতে তাদের অনুরোধ জানালে এই নিয়ে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা বা গ্রেফতার হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।