কাজিরবাজার ডেস্ক :
টানা বৃষ্টির বদৌলতে এবার গ্রীষ্মের গরম সেভাবে টের পাওয়া না গেলেও গত কয়দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গে বাড়ছে শ্রমজীবীদের দেহের ঘাম। গরমের কারণে কমে গেছে রাতের ঘুমও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে রবিবার দেশে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে যশোরে, ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় পারদ কিছুটা কম। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৭ ডিগ্রি।
অবশ্য রাজধানীতে তামপাত্রার চেয়ে গরমের অনুভূতি বেশি থাকে বায়ু দূষণ আর পর্যাপ্ত সবুজের অভাবে। আর আবহাওয়া অধিদপ্তর যে এলাকায় তামপাত্রা মাপে তা তুলনামূলক খোলা এলাকা, গাড়ির চালাচলও অনেক কম। আবাসিক এলাকায় গরমের অনুভূতিও থাকে বেশি।
পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আর দুই ডিগ্রি বাড়লে সেটা হবে মৌসুমের সর্বোচ্চ তামপাত্রা। গত মাসে একবার তামপাত্রা ৩৭ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল।
অবশ্য তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতা বেশি স্থায়ী হবে না। চলতি সপ্তাহ শেষে আবার শুরু হবে বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রম ছাড়া আপাতত এই অবস্থাই চলবে। অর্থাৎ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিই হবে প্রধান প্রবণতা। দুই তিন দিন বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। সেই সাথে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা দুটোই বেড়ে যাবে। তবে আগামী ৩০ তারিখের পর বৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে যাবে।