উলামা পরিষদ বাংলাদেশ ও তাওহীদি জনতার পক্ষ থেকে তথাকথিত আহলে হাদীস নামক লা মাযহাবীদের সকল প্রকার কর্যক্রম বন্ধের দাবিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পলিশ কমিশনার মো: গোলাম কিবরিয়া ও সিলেটের জেলা প্রসাশক নুমেরী জামান এর কাছে পৃথক স্মারক লিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি পেশকালে তারা বলেন তথাকথিত আহলে হাদীস নামক লা মাযহাবীরা নগরীতে তাদের ২ টি সেন্টারের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ ও ফিতনা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। তারা ইসলামের প্রথম যুগ থেকে পবিত্র মক্কা ও মদিনা সহ মুসলিম বিশে^ রমযান মাসে চলে আসা ২০ রাকাআত তারাবীর স্থলে ৮ রাকাআত তারাবীহ আদায়ের দাওয়াত করে মুসলমানদেও মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। যেখানে, সিলেটের সবকটি মসজিদে একই সময়ে আযান হয়ে থাকে। কিন্তু,তাদের পরিচালিত দুটি সেন্টার ও মসজিদে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আযানা হয়ে থাকে বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে মাগরিবের ৫ মিনিট পূর্বে আযান প্রদানের মাধ্যমে মুসলমানদের রোজা নষ্ট করার হীন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মহিলাদেরকে পুরুষদের মসজিদে উপস্থিত করার প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও ইসলামের মধ্যে আরো বেশ কিছু মীমাংসিত মাসয়ালার প্রতি মানুষের মনে বিভ্রান্ত ও ফিতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে তাদের সেন্টারগুলো, এ ব্যাপারে প্রশাসন জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
স্মারকলিপি ও মতবিনিময়কালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির নগরীর এই সিলেটকে কোনোভাবে কলুষিত করতে দেয়া যাবে না। তাই অঙ্কুরে ফিতনা সৃষ্টিকারীদের কার্য্যক্রম এর ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ধর্মকে নিয়ে ফিতনা সৃষ্টিকারী ও ইসলামের অপব্যাখাকারীদের বিপক্ষে সিলেটের তৌহিদী জনতা সবসময় সোচ্চার তাই মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী এই সকল সেন্টরের বিরুদ্ধে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থাসহ এসকল সেন্টার বন্ধ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানান এবং এই সকল সেন্টার পরিচালনাকারীদের টাকার উৎসস্থল তদন্ত করা আহবান জানান।
স্মারক লিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উলামা পরিষদের সভাপতি মাওঃ মুফতি আবুল কালাম জাকারিয়া, উপদেষ্টা মাওঃ শফিকুল হক আমকুনী, মাওঃ মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, উলামা পরিষদের সহ সভাপতি মাওঃ রেজাউল করীম জালালী, সহ সভাপতি মাওঃ কারী মুজ্জাম্মিল হোসাইন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মাওঃ মুহিব্বুর রহমান মিটিপুরী, নির্বাহী সদস্য মাওঃ মুশতাক আহমদ খান, মাওঃ শরীফ উদ্দিন, ঝেরঝেরী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ মাহমুদ সোয়াইব, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইলিয়াস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ হারুনুর রশীদ আল আজাদ, নাইওপুর জামে মসজিদের খতীব মাওঃ হাফিজ নজমদ্দীন কাসেমী, উলামা পরিষদের অর্থ সম্পাদক মাওঃ মুহি উদ্দীন, সিলেট মহানগর জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মাওঃ হাফিজ আহমদ সগীর, নির্বাহী সদস্য মুফতী রশীদ আহমদ, হাফিজ মাওঃ শফীকুর রহমান, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওঃ সায়ফুল্লাহ, মাওঃ আব্দুল মুকিত, জিন্নুরাইনের প্রিন্সিপাল মাওঃ জাহিদ উদ্দীন চৌধুরী, নুরুল হেরা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওঃ এখলাছুর রহমান, হাজী আব্দুল মতিন, মাওঃ রফিকুল ইসলাম খান, হাজী হারুনুর রশীদ, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল আমীন বাকের, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, মুহিউল ইসলাম চৌধুরী মনসুর, সালমান চৌধুরী শাম্মী, মাহফুজ চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, মাওঃ ইব্রাহীম, এডভোকেট তানভীর খান, মাওঃ আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওঃ আব্দুল মুছাব্বির, মাওঃ হুছাইন আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি