আখালিয়ায় লোডশেডিংয়ে বিপাকে রোজাদার মানুষ

46

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আখালিয়া এলাকায় গত কয়েক দিনে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। দিনে কম হলেও রাতের বেলা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে নগরীর আখালিয়ার রোজাদার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে এ কারণে রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহরীর খাওয়ার সময় রোজাদারদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
লোডশেডিং হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর এক কর্মকর্তারা বলেন, সরবরাহ কম, সরবরাহ লাইনের ক্রটি ও অত্যাধিক গরমের কারণে এখন লোডশেডিং বেড়ে গেছে।
আখালিয়া ব্রাহ্মণশাষন এলাকার মাসুক মিয়া ও ফারুক ইসলাম জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় তাঁদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাতে বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। আবার ১০-১৫ মিনিট পর চলে যায়, ফের ঘণ্টাখানেক পরে আসে।
আখালিয়া কালীবাড়ীর ময়নুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় প্রতিদিন ছয়-সাতবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। প্রতিবারই এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। সকাল, বিকেল ৩টা থেকে ৫টা, রাত ৯টা থেকে ১১টা এবং মধ্যরাতে লোডশেডিং এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, বিদ্যুতের লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ লাগছে। রোজা রেখে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যেই বিদ্যুৎ গেলে আর আসে না। রমজান মাসের শুরুতেই লোডশেডিংয়ের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তিন দিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পিডিবি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
পিডিবির কুমারগাও (বিতরণ বিভাগ) সূত্রে জানা গেছে, অত্যাধিক গরমের কারণে মানুষের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া গরমে ওভারলোড হওয়ার কারণে ট্রান্সফরমার বিকল ও বিদ্যুতের তার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে শহরে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। তবে আমরা সিলেটবাসীর ভোগান্তি দূর করার চেষ্টা করছি।