গরম বাড়বে, থাকবে কালবৈশাখীও

52

কাজিরবাজার ডেস্ক
জৈষ্ঠ্যের পচণ্ড গরমের সঙ্গে এবছর আরও কালবৈশাখী হানা দিতে পারে। গত এক মাসে সারা দেশে কালবৈশাখীর ছোবলে প্রাণহানি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ায় আতংকও বেড়েছে জনমনে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যখন তখন কালবৈশাখীর হানা বিঘœ স্বাভাবিক জনজীবনের। আর সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণ ঋতুবৈচিত্রে যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা। ভরা বর্ষার মতোই ঘন ভারী মেঘ ছেয়ে ফেলছে আকাশ। দিনের বেলাতে নেমে আসছে রাতের আঁধার। এসবই জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে তীব্র বজ্রপাতসহ কালবৈশাখীসহ ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ নিঝুম রোকেয়া আহমেদ জানান, উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এখন কালবৈশাখীর সময়, এ সময় ঝড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আগামী বছর এই ধরনের ঝড়ের প্রবণতা কমবে। সেই ক্ষেত্রে এটাকে জলবায়ুর কোনও প্রভাব বলা যাবে না। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক ঘটনা।’
২০১৭ সালের এপ্রিলের বৃষ্টিপাত বিগত ৩৫ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গতবছর এপ্রিলে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়েও ৮৮ শতাংশ বেশী। ১৯৮১ সালের এপ্রিলেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় ১৬৮ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছিল। এবারের এপ্রিলেও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসেও সমানতালে বজ্র বৃষ্টিসহ কালবৈশাখীর দাপট চলছে।
মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।