কাজিরবাজার ডেস্ক :
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ৪ জুন পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মামলার বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান এ রায় দেন। রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে হাজির না করে কাস্টডিতে পাঠান কারা কর্তৃপক্ষ। কাস্টডিতে লেখা হয়, খালেদা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। অপরদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৪ জুন পযন্ত খালেদার জামিন মঞ্জুর করেন। ২২ এপ্রিল খালেদা জিয়ার জামিন ১০ মে পর্যন্ত মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়ার জামিন ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এবং তার আগে ২৮ মার্চ ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান ৫ এপ্রিল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এ দুটি মামলারই প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুদক। চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।