কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী ও নারাইপুর আগফৌদ গ্রাম এলাকায় সোমবার ভোরে পুলিশ ব্লক রেড অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক সহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র, মাদক ও জামায়াত শিবিরের কিছু দাওয়াতী বইপত্র উদ্ধার করেছে। কানাইঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তর আবুল হাসনাত খান ও জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মস্তাক আহমদ, কানাইঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আমিনুল ইসলাম সরকার, কানাইঘাট থানার ওসি মোঃ আব্দুল আহাদ ও ওসি (তদন্ত) মোঃ নুনুমিয়ার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সোমবার ভোর রাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত গাছবাড়ী বাজার ও নারাইনপুর গ্রামে ব্লক রেড অভিযান করেন। অভিযান কালে পুলিশ নারাইনপুর গ্রাম ও আশপাশ এলাকা থেকে ১৬ জনকে আটকের পাশাপাশি ৩টি চাপাতি, ৩টি বড় দা, ১টি বিদেশী দা, ১টি রাম দা, ৫টি লম্বা ছূরা, ২টি লোহার পাইপ, ১০টি লোহার রড, কয়েকটি ঝাটা ও ১১ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েছ মদ ও জামায়াত শিবিরের ২৫টি দাওয়াতী বইপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত ১৬ জনের মধ্যে ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও শিক্ষকরা রয়েছেন। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী সিলেট উত্তর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেন যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। সকলের পরিচয় শনাক্ত করে কেউ যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপর দিকে থানা জেল হাজতে থাকা কয়েকজন জানিয়েছেন, তাদেরকে গতকাল সোমবার সকালে গাছবাড়ী বাজার ও নারাইনপুর এলাকা থেকে পুলিশের গাড়ীতে উঠিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। তারা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়। অনেকের নামে কোন ধরনের মামলা নেই। প্রসঙ্গত যে, গাছবাড়ী এলাকার নারাইনপুর আগফৌদ গ্রামে আদিপত্ত বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক মারামারিসহ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র গ্রামে মজুদ করে রাখায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার সার্বিক আইন শৃংখলার উন্নয়নে মূলত গতকাল সোমবার ভোরে পুলিশ নারাইনপুর গ্রামে ব্লকরেড অভিযান চালিয়ে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন গাছবাড়ী এলাকার আইন শৃংখলার উন্নয়ন, অপরাধ ও নাশকতা মূলক তৎপরতার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান স্যারের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়েছে। আটকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ নিরাপরাধ হলে আমরা যাচাই বাছাই করে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরোদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।