কাজিরবাজার ডেস্ক :
খোদ রাজধানী থেকে হুমায়রা নামে এক উচ্চশিক্ষিত নারী জঙ্গি গ্রেফতারের পর আবারও আলোচনায় এসেছে জঙ্গিদের গোপন তৎপরতার বিষয়টি। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হুমায়রার তথ্যমতে, নারী জঙ্গিদের পৃথক ইউনিট রয়েছে। বেশকিছু উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিদের গোপন তৎপরতা অব্যাহত আছে। তার মধ্যে জঙ্গিদের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। গত প্রায় তিন বছরে সারাদেশ থেকে গ্রেফতারকৃত ২৪ নারী জঙ্গির মধ্যে অন্তত ১০ জন আত্মঘাতী। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখনও অন্তত দুইশ’ বাংলাদেশী জঙ্গি আত্মঘাতী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। যাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জনই নারী। নারী জঙ্গিরা শুধু তৎপরই নয়, তারা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাতে ফান্ড সংগ্রহ করছে। পুলিশ ও র্যাব সূত্রে এমন তথ্য মিলেছে।
গত ৪ এপ্রিল বুধবার গভীর রাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট হুমায়রাকে গ্রেফতার করে। গত বছরের ১৫ আগষ্ট পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে আত্মঘাতী হয়ে নিহত হয় নব্য জেএমবির সুইসাইডাল স্কোয়াডের সদস্য সাইফুল ইসলাম। সাইফুলকে হামলা চালানোর জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা ছাড়াও মানসিকভাবে প্রস্তুত করার সঙ্গে হুমায়রা জড়িত। শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে হত্যার পরিকল্পনা ছিল বলে পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়। ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয় হুমায়রাকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, সাইফুলকে আর্থিক ও মানসিকভাবে সহায়তা করার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হুমায়রাকে গ্রেফতার করা হয়। হুমায়রা ওরফে নাবিলার স্বামী তানভীর ইয়াসির করিমও নব্য জেএমবির সঙ্গে জড়িত। তাকে গত বছরের ১৯ নবেম্বর গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে। স্বামীর অবর্তমানে এবং জেএমবির নারী শাখার শীর্ষ নেত্রী হিসেবে হুমায়রা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। হুমায়রা নব্য জেএমবির সিস্টার্স উইং বা নারী শাখার দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। তিনি নব্য জেএমবির মূল সমন্বয়ক আকরাম হোসেন খান নিলয় গ্রুপের মূল অর্থদাতা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নাবিলাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। গত বছরের ১৫ আগস্টের মামলাটি তদন্তের জন্য নাবিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব চন্দ্র রায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই দিনের রিমান্ডে হুমায়রাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান জানান, গত বছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের র্যালিতে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে নাবিলার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অন্যতম একজন অর্থদাতা নাবিলা। অনেক আগেই জঙ্গীবাদে হুমায়রার জড়িত থাকার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হন। স্বামী গ্রেফতারের পর থেকেই তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। তবে গ্রেফতার করা হয়নি। নাবিলা অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাকে গ্রেফতার করাটা ঝামেলা ছিল। সম্প্রতি তিনি নজরদারির বিষয়টি হয়তো অনুমান করতে পেরেছিলেন। এজন্য তিনি আত্মগোপনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, হুমায়রা রাজধানীর একটি বিলাসবহুল শপিংমলের মালিকের মেয়ে। ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেন। পরে মালয়েশিয়ার একটি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেন। তার স্বামী তানভীরও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তানভীরের সঙ্গে পরিচয়। স্বামীর হাত ধরে তিনিও জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, তিন বছর ধরে জাতীয় শোক দিবসসহ জাতীয় অনুষ্ঠানে জঙ্গীরা আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা বিভিন্ন সময় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আভাস দিয়েছে। হামলা চালানোর সঙ্গে পরিস্থিতি মোতাবেক নারী বা পুরুষ আত্মঘাতী জঙ্গীদের অংশ নেয়ার দলীয় নির্দেশ রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোন হামলায় নারী জঙ্গীদের অংশ নেয়ার তথ্য মেলেনি। শুধু হলি আর্টিজানে হামলা মামলার অন্যতম আসামি তানভীর কাদেরীর বাসায় ডিবির অভিযানকালে সেখানে থাকা নারী জঙ্গীরা পুলিশের ওপর মরিচের গুড়া, চাকু ও পিস্তল দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। এছাড়া ঢাকার আশকোনার একটি আস্তানায় এক নারী জঙ্গী পুলিশের ওপর গুলি চালানোর পর আত্মঘাতী হয়েছিল।
জঙ্গীদের তৎপরতার বিষয়ে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক লুৎফুল কবীর জানান, জঙ্গীদের তৎপর থাকার তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের আমির মোঃ মাহমুদুল হাসান ওরফে হাসান (২৭) গাজীপুর জেলার টঙ্গী থেকে তাদের হাতে গ্রেফতার হয়। হাসান রিমান্ডে জানায়, নব্য জেএমবির কার্যক্রমে নারীরাও কাজ করছে। এরপরই উচ্চশিক্ষিত ধনাঢ্য পরিবারের যুবতীদের জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি একেবারেই প্রকাশ্যে চলে আসে।
হাসান জানায়, নব্য জেএমবিতে অনেক নারী কাজ করছে। তাদের অনেককেই সে চিনে। আবার অনেককে সে চিনে না। এমনকি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে নারী সদস্যরা নিয়মিত চাঁদা দিয়ে থাকে। চাঁদার টাকা নব্য জেএমবির পুরুষ শাখাকেও প্রয়োজনে দেয়া হয়। হাসান বেশ কয়েকজন নারী জঙ্গী সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য দেয়।
সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ২০১৬ সালের বছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন ঢাকার মগবাজারে ও গাজীপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেফতার হয় আত্মঘাতী নব্য জেএমবির নারী জঙ্গী স্কোয়াডের সদস্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ইসতিসনা আক্তার ঐশি (২৩), জামায়াতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের ছাত্রী ইশরাত জাহান ওরফে মৌসুমী ওরফে মৌ (২২), খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা (২৩) ও আকলিমা রহমান ওরফে মনি (২৩)। পরে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসতে থাকে নারী জঙ্গীদের সর্ম্পকে নানা তথ্য। গ্রেফতারকৃত চার নারী জঙ্গী আরও দশ নারী জঙ্গীর নাম প্রকাশ করেছে। ওই দশ নারীও বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তারা ছদ্মনাম ব্যবহার করে।
ওই দশ নারী জঙ্গী হচ্ছে, সাফিয়া ওরফে সানজিদা ওরফে ঝিনুক, মাইমুনা ওরফে মাহমুদা ওরফে লায়লা, তাসনুবা ওরফে তাহিরা, সায়লা ওরফে শাহিদা, সালেহা ওরফে পুতুল, দিনাত জাহান ওরফে নওমী ওরফে বানী, তানজিলা ওরফে মুন্নী, আলিয়া ওরফে তিন্নি ওরফে তিতলী, মনিরা জাহান ওরফে মিলি ও ছাবিহা ওরফে মিতু। তারা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নাম প্রকাশ পাওয়া ওই দশ নারীকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও নব্য জেএমবিতে যুক্ত আরও কিছু নারী জঙ্গী সর্ম্পকে তথ্য পাওয়া যায়। তাদের তথ্য মোতাবেক, আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী নারী জঙ্গীদের চাঁদার হার নির্ধারিত হয়। সে অনুযায়ী ডাঃ ঐশী মাসিক ১২ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতেন। তিনি ৩ বছর ধরে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে আসছিলেন।
হুমায়রার মত ডাঃ ঐশীও ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডাঃ ঐশীর পিতা ডাঃ বিশ্বাস আকতার হোসেন (৫৮) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। মা ডাঃ নাসিমা সুলতানা (৪৮) ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালের গাইনী বিভাগে কর্মরত। নারী জঙ্গীরা অনেককেই জঙ্গী প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশেও পাঠায় বলে তথ্য দেয়।
সেই তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাব-২ এর একটি দল ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনের একটি হোটেল থেকে নব্য জেএমবির সদস্য হিসেবে আত্মঘাতী প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য পাকিস্তান যাওয়ার প্রস্তুতিকালে দুই জোড়া নবদম্পতিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেনÑ মারজিয়া আক্তার ওরফে সুমি (১৯), পিতা-মোঃ মনসুর আলী শেখ, গ্রাম- উলাট, থানা-সুজানগর, জেলা-পাবনা ও তার স্বামী মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে সুলতান মাহমুদ তাপস ওরফে মাহমুদ (১৮), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম, গ্রাম-বাঘবাড়ি, থানা-মেলান্দ, জেলা-জামালপুর। আরেক নবদম্পতি মোঃ আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুল (৩৪), পিতা-মৃত আব্দুল হক, গ্রাম-নিশ্চিন্তপুর, থানা-নালিতাবাড়ী, জেলা-শেরপুর ও তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানা (৩০)।
এ ব্যাপারে র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, চারজনই দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গী কর্মকা-ে জড়িত। রীতিমত নব্য জেএমবির হয়ে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সংগঠনের সিদ্ধান্তেই তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা দলীয় সিদ্ধান্তেই পাকিস্তান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেখানে তাদের উচ্চতর আত্মঘাতী জঙ্গী প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে মারাত্মক আত্মঘাতী হামলা চালানোর কথা ছিল। দলের তরফ থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শেষে পাকিস্তানেই থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। দলের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাদের দেশে বা অন্য কোন দেশে গিয়ে হামলা চালানোর কথা ছিল। তারা থ্রিমা ও টেলিগ্রাম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্রুপের মূল কাজ হচ্ছে, বাছাইকৃত জঙ্গীদের দিয়ে দেশের ভেতরে একটি করে অভিযান চালানোর দায়িত্ব দেয়া। অভিযান সফল হলে বিদেশে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এই গ্রুপ থেকেই আফিফ, কাইফ, জাইশান ও মফিজ নামের জঙ্গীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হতো। সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ওই বছরের ২০ আগস্ট বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। দলের সিদ্ধান্তেই দুই দম্পতির বিয়ে হয়।
নাহিদ সুলতানা জানায়, সে জঙ্গী মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে দলের সদস্য আমিনুলকে বিয়ে করে। নাহিদ নারায়ণগঞ্জ সরকারী তুলারাম কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে। তাদের বিয়েতে সশরীরের উপস্থিত থেকে সাক্ষী হয়েছিল মাদারীপুরে হিন্দু শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামি পরবর্তীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গী ফাইজুল্লাহ ফাহিম।
নাহিদা সুলতানার তথ্য মোতাবেক, নব্য জেএমবি পরিচালনার সিংহভাগ টাকা আসছে বিদেশ থেকে। বাকি টাকা সদস্যরা ইয়ানত (চাঁদা) হিসেবে দিয়ে থাকে। দেশে চার থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কয়েকটি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। তারা হত্যাসহ আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও জানান, নারী জঙ্গীদের আরও প্রশিক্ষিত করতে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে যুবক ও যুবতীদের পাকিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জঙ্গী সংগঠনগুলো। বিদেশে থাকা নব্য জেএমবির সঙ্গে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী জঙ্গীদের যোগাযোগ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকেও এদেশীয় জঙ্গীরা অর্থ সহায়তা পেয়ে আসছে।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, নারী জঙ্গীদের দেয়া তথ্য মোতাবেক ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট জেএমবির মহিলা শাখার পুরুষ প্রশিক্ষক কানাডা থেকে আসা রাশেদুজ্জামান রোজসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুই দম্পতির সঙ্গে রাশেদুজ্জামান রোজসহ অন্যদের যোগাযোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।