ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে মা দীপু কামলাকার (৩৬) তার ছেলে বিকাশ মালাকার (৮) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক রিয়াজকে (১৯) গ্রেফতার করেছে ওসামনীনগর থানা পুলিশ। (বৃহস্পতিবার) সকালে অভিযান চালিয়ে নেত্রকোণার জেলার কেন্দুয়া থেকে রিয়াজকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম মাইন উদ্দিন। ঘাতক রিয়াজ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কালিজুরি রশিদ চেয়ারম্যানের বাড়ি গ্রামের আবুল ওরফে হাবুল মিয়ার ছেলে। সে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের লেবু মিয়ার কলোনিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিল। নিহত দীপু মালাকারের সাথে রিয়াজের দীর্ঘ দিনের সখ্যতা ছিল।
এর পূর্বে সোমবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার গেয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহ নজরুল ইসলাম (২৭) একই গ্রামের মৃত আব্দুল কালামের ছেলে জয়নাল মিয়া(২৯) ও পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির গলমুকাপন গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে জকরুল মিয়া (২২)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের তিনজনকে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রিটে মো. নজরুল ইসলামের আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা মা ছেলের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রিয়াজকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য রিয়াজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ দুপুরে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের পূর্বের হাওর থেকে পচাঁ গন্ধ বের হবার বিষয়টি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে জানায় স্থানীয় এলাকাবাসী। পুলিশ হাওরে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে অজ্ঞাতনাম এক মহিলা ও ছেলের ক্ষতবিক্ষত গলিত লাশ উদ্ধার করে। ২৪ মার্চ রাতে নিহত দিপু মালাকারের ছোট বোন পারুল মালাকার লাশ শনাক্ত করেন। ২৬ মার্চ দিপু মালাকারের একমাত্র ছেলে বিজয় মালাকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা (মামলা নং-১০) দায়ের করেন।