স্টাফ রিপোর্টার :
আখালিয়ায় নিজ বাড়ির সামনে চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী কালা বাবলু উরফে চাপাতি বাবলু’র নেতৃত্বে দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকার ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেলকে (৩৫) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ সময় সন্ত্রাসী বাবলু ও তার সহযোগীরা তার মা, ছোট ভাই ও ভাতিজাকেও কুপিয়ে আহত করে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ধানুহাটারপাড় জি-ব্লকের পূর্বশা/৩০ নং বাসার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেজা রুবেল ও তার মার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
আহত অন্যান্যরা হচ্ছেন- রেজা রুবেলের মা সাজিদা বেগম (৬৫), প্রতিবন্ধি ছোট ভাই হাসান আহমদ (২০), ভাতিজা আরিয়ান আহমদ শুভ (৬)। রেজা রুবেলের হাত ও পিঠে ও তার মায়ের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
আহত রেজা রুবেল জানান, আখালিয়া এলাকার ৩১নং বাসার সিকান্দর আলীর ছেলে বাবলু ওরফে কালা বাবলু (২৬) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। গত ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাবলুসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা এক মাদকসেবী তাদের (রেজা রুবেল) বাসায় প্রবেশ করলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাবলু রেজা রুবেল ও তার পরিবারকে দেখে হুমকি দেয়। এতে রেজা রুবেল বাদী হয়ে বাবলুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় জিডি এন্ট্রি করেন (নং-২১৬৯)।
তিনি জানান, গত ৫ ও ৬ আগষ্ট র্যাব পরিচয় দিয়ে বাবলু বিভিন্ন মোবাইল ফোন থেকে তাকে ও তার পরিবারকে এসএমএস দিয়ে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। পরদিন এ হুমকির ঘটনায় রেজা রুবেল কোতোয়ালী থানায় আরেকটি জিডি (নং-৫৭৪) এন্ট্রি করেন। গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি দল নতুন বাজার থেকে বাবলু ও তার সহযোগী শরীফকে গ্রেফতার করে। পরদিন এসএমপি এ্যাক্ট’র ৮৯ ধারায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গত শনিবার বাবলু বেরিয়ে এসে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে তার (রেজা) বাসায় দুই দফা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। রেজা রুবেল বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রেজা রুবেল বলেন, গতকাল সোমবার বিকালে আমি বাসা থেকে বের হলে হঠাৎ একই এলাকার ৩১ নং বাসার সিকান্দর আলীর পুত্র চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী বাবলু উরফে কালা বাবলু উরফে চাপাতি বাবলু, মৃত মলা রাশিদের পুত্র খসরু, মৃত ইসাকের পুত্র সিকন্দর, সিকন্দরের পুত্র নাঈম, হিরোইন সম্রাট ধনাই মিয়ার পুত্র রাসেল ও সৈয়দুর রহমান আলমের পুত্র মানিক উরফে কট্টা মানিকসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্রে সঞ্জিত হয়ে আমার উপর হামলা চালায় এবং আমার বাসায় পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে বাসা ভাংচুর করে। তারা আমরা মা, ছোট ভাই এবং ভাতিজার ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তারা আমার ক্যামেরাও নিয়ে যায়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ ফেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।