বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে কলেজ ছাত্রী তাসলিমা খানম রীমার (১৬) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচণা মামলার প্রধান আসামি সুমন আহমদ (২৫) ও তার মা মায়ারুন নেছাকে (৫৫) জেল হাজতে পাঠঠিয়েছেন আদালত। বুধবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক কাকন দে’র আদালতে হাজিরা দেন সুমন ও তার মা’সহ মামলার ৬ অভিযুক্তরা। এ সময় সুমন আহমদ ও তার মা মায়রুন নেছার জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। জামিন মঞ্জুর হওয়া অপর ৪জন হলেন, সুমনের বোন রেহানা বেগম (৩০), শাবানা বেগম (২৩), ভাবী রোশনা বেগম (৩০) ও ভাবী রীনা বেগম (২৬)।
চলতি বছরের গত ১৬ ফেব্র“য়ারি দিবাগত রাতে অভিযুক্ত সুমনের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করে কলেজ ছাত্রী তাসলিমা খানম রীমা। সিলেটের মঈনুদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়–য়া রীমা খেশবপুর বিদ্যাপতি গ্রামের ডা: শাহনুর হোসাইনের মেয়ে। আর অভিযুক্ত সুমন লামাকাজি ইউনিয়নের তথ্য-ই সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তা এবং একই গ্রামের মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনার পর ১৯ ফেব্র“য়ারি রাতে বিশ্বনাথ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত রীমার বাবা বিশ্বনাথ উপজেলা আ’লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: শাহনুর হোসাইন। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী পার্শ্ববর্তি বাড়ির বখাটে সুমন আহমদকে (২৫) প্রধান আসামিসহ তার পরিবারের আরও ৬জনকে অভিযুক্ত করা হয় (মামলা নং ১৫)। বাদীপক্ষের দাবি অভিযুক্ত সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কলেজছাত্রী রীমার আত্মহত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে।