সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে – এমপি মুহিবুর রহমান

63

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের এমপি মুহবুর রহমান মানিক বলেছেন, একাত্তরে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে লাল সবুজের পতাকা দিয়েছেন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে বিশে^ আজ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশ স্বাধীন হলেও পাকিস্তানী দোসরদের কবল থেকে মুক্ত হয়নি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘ ২১ বছর তাদের হাতে ক্ষমতায় থাকায় এদেশে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ ছিলেন না। যাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের ওইসব প্রেতাত্ম্যারাই স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেন। মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। স্বাধীনতা যাতে অর্থবহ হয় সেজন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
শনিবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. গাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজের উপস্থাপনায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতিক বলেন, পাকিস্তানের দোসর রাজাকার আলবদররা জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। এখনো তারা দেশ ও জাতির সর্বনাশ করতে উঠেপড়ে লেগে আছে। তাদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে সুনামগঞ্জের প্রত্যেক উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতোমধ্যে প্রত্যন্ত উপজেলায় প্রায় ২২টি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের উপত্যকা উপজেলার বাঁশতলায় জেলার অন্যতম মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও লাইব্রেরী পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, আব্দুল মজিদ বীরপ্রতিক, আব্দুল হালিম বীরপ্রতিক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ফখর উদ্দিন,ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক হাজী আব্দুল খালেক, ছাতক উপজেলা আ’লীগ নেতা সৈয়দ আহমদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল বারী, দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস, আ’লীগ নেতা মানিক লাল দে প্রমুখ।