সিলেট নগরীতে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণ থেকে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ছড়া, খাল, ড্রেন ও নর্দমায় স্প্রে করার মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
ওলিকুল শিরমনি হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার থেকে শুরু করে নগরীর চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার হয়ে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে উদ্বোধনী দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষ্যে এতোদিন ছড়া, খাল, ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। যার কারণে নগরবাসী এতোদিন মশার জালায় অতিষ্ঠ ছিলেন। এখন ছড়া, খাল, ড্রেন পরিষ্কার করে মশা নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। পরিষ্কার পরিচন্ন নর্দমায় স্প্রে ছিটানোর ফলে মশার বিস্তার কিছুটা হ্রাস পাবে উল্লেখ করে সিসিক মেয়র বলেন, এক যোগে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মশা নিধনের কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, চেষ্টা করছি নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে সিসিক মেয়র বলেন, বিভিন্ন এলাকার পুকুর-ডোবা, নালা-নর্দমার কচুরিপানা ও ময়লা পরিষ্কার না করায় সেগুলো মশা উৎপাদনের খামার হিসেবে বিরাজ করছে। মশা নিধনের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের তবে এক্ষেত্রে নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আপনার বাসার চারপাশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আপনার। ছড়া নালা, ড্রেন পরিষ্কারের পাশাপাশি ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার কিংবা যেকোনো খালিপাত্রে পানি জমতে দেবেন না। পানিতে এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে। তাই আসুন, সবাই মিলে এডিস মশা প্রতিরোধে সোচ্চার হই।
সিসিক জানিয়েছে, বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মশা নিধন কার্যক্রম চলবে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে। প্রতিদিন ৩ টি ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম চলবে। আগামী ৯দিনের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ হবে বলেও জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এছাড়া নগরবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায়ও এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নগরীর সকল ওয়ার্ডের ছড়া, স্ল্যাব, ড্রেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন, ডোবা, হাউজ, সেফটি ট্যাংক ও জঙ্গলে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। অভিযানে সিসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ বদরুল হক, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দ্রুব পূরকায়স্থ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, শামছুল হক পাঠোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি