সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার কঠিন মুহূর্তে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দারাজ কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যার ফলে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। শহীদ জিয়ার সাহসী কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা না এলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিন্ন হতে। শহীদ জিয়া মানেই স্বাধীনতা, শহীদ জিয়া মানেই বাংলাদেশ। শহীদ জিয়া শুধু ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। ক্ষমতাসীন অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার শহীদ জিয়ার অবদান অস্বীকার করলেও মুক্তিকামী জনতার হৃদয়ে শহীদ জিয়া চির অক্ষয়। শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এবং আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতার চেতনাকে অর্থবহ করতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাকশালী সরকার তা বরদাশত করতে পারে নাই। তাই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ফরমায়েসী রায়ে গণতন্ত্রের মা কে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও ক্ষমতাসীনদের অবৈধ ক্ষমতা লিপ্সার কারণে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে স্বৈরাচারী শাসনের দিকে শীর্ষ স্থান লাভ করেছে। যা জাতির জন্য কলংকজনক। স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীতে বর্নাঢ্য স্বাধীনতার র্যালী বের করা হয়। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের সামন থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে সমাপ্ত হয়। র্যালি পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। র্যালিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, তাতী দল, জাসাস সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালীপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সহ-সভাপতি এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সহ-সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জেলা সহ-সভাপতি ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহাগর সহ-সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম ও হাজী মো: শাহাব উদ্দিন, মহানগর সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সহ-সভাপতি মুফতী বদরুন নুর সায়েক, সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, সহ-সভাপতি বাবু নিহার রঞ্জন দে, সহ-সভাপতি সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, সহ-সভাপতি আমির হোসেন, জেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম সিদ্দীকি, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, মাহবুব কাদির শাহী, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু ও হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর সাংগঠনিক কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুকুল মুর্শেদ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি