মো.শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে নলুয়ার হাওর বেড়িবাঁধ নির্মাণকালে জমির মালিকের বাধার মুখে নির্দিষ্ট ম্যাজারমেন্ট অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে অনেকটা বাধ্য হয়ে পুরনো বাঁধ দিয়ে গুঁড়িয়ে বাধের কাজ চলছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ ম্যাজারমেন্ট অনুযায়ী নতুন বিকল্প চাইলেও আরেক পক্ষ চায় না। যে কারণে অনেক খেসারত দিতে হচ্ছে পিআইসি কমিটিকে। বাধ্য হয়ে আরো ৪ হাজার ফুট অতিরিক্ত বাঁধ নির্মাণ করতে হচ্ছে। এরপরও একটি চক্র বারবার বিভিন্ন অজুহাতে কাজে বাধা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এবার ৯২টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে জগন্নাথপুর নলুয়ার হাওরের প্রায় ৫২ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে নির্ধারিত দুই দফা সময় শেষ হলেও উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বেরী গ্রাম এলাকায় নলুয়ার হাওর পোল্ডার-১ এর পিআইসি কমিটির সভাপতি ঠাকন মিয়া (পিআইসি নং-২৬), পিআইসি কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান (পিআইসি নং ২৮) ও পিআইসি কমিটির সভাপতি মিলন মিয়া (পিআইসি নং ২৯) তাদের প্রকল্পে কাজ শুরু হলে বাধা দেন বাধের পাশে থাকা জমির মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুর রহিমের লোকজন। এখানে বাধ নির্মাণ না করতে তারা জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরশ মিয়াকে। চেয়ারম্যান আরশ মিয়া অনেকটা বাধ্য হয়ে ম্যাজারমেন্টে থাকা বিকল্প বাঁধ নির্মাণ না করে অন্যত্র গুঁড়িয়ে সাবেক পুরনো বাঁধ দিয়ে আরো ৪ হাজার ফুট অতিরিক্ত বাঁধ নির্মাণ করান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ পিআইসি কমিটিকে বেকায়দায় ফেলতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২০ মার্চ মঙ্গলবার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরশ মিয়া বলেন, পাইবো’র ম্যাজারমেন্টকৃত নতুন বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কালে জমির মালিক বাধা দিলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফরোজ ইসলাম মুন্নার মধ্যস্থতায় ও জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অনেকটা বাধ্য হয়ে সাবেক পুরনো দিকে বাধ নির্মাণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত আরো ৪ হাজার ফুট বাঁধ নির্মাণ করতে হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট পিআইসিগণ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামি ২/৩ দিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপরও একটি চক্র নতুন ম্যাজারমেন্টকৃত বিকল্প স্থানে বাঁধ নির্মাণ না করা নিয়ে নানাভাবে পিআইসিগণকে অযথা হয়রানী করছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আমার ব্যক্তি উদ্যোগে স্থানীয় শালদিকা-নাচনী এলাকায় প্রায় ২ হাজার ফুট বাধ নির্মাণ করেছি। এবার সঠিকভাবে তদারকি করায় মান সম্পন্ন বেড়িবাঁধ নির্মাণ হওয়ায় তিনি জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও পাউবো’র সহকারি প্রকৌশলী (এসও) নাসির উদ্দিনকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া আরেক পিআইসি কমিটির সভাপতি জুয়েল মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলতে নানাভাবে অপচেষ্টা করছে।